কালবৈশাখী ঝড়ে পশ্চিমবঙ্গে নিহত ১০

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলোতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারী বর্ষণ ও বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড়ে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ।
আবহাওয়া কার্যালয় জানিয়েছে, মূলত কালবৈশাখী ঝড় আঘাত এনেছে দুবার। প্রথমবার ৮৪ কিলোমিটার বেগে সন্ধ্যা ৭টা ৪২ মিনিটের দিকে। আর ঠিক তার ১৩ মিনিট পর সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে আঘাত হানে দ্বিতীয় কালবৈশাখী। এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৮ কিলোমিটার।
এর ফলে কলকাতা শহরের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন ও মেট্রো চলাচল, ব্যহত হয় বিমান চলাচলও।
সর্বশেষ কলকাতায় চারজন, হাওড়ায় চারজন, বাকুরায় একজন ও হুগলিতে একজন নিহত হন।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কলকাতা থেকে দিল্লি, ভুবনেশ্বর ও আগরতলা যাওয়ার ফ্লাইটগুলো প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ ছিল।
কলকাতা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৪০টি গাছ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। রেড রোড ও সাউদার্ন অ্যাভিনিউসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়ির উপর গাছপালা উপড়ে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
এ ছাড়া গাছ উপড়ে পড়ায় কয়েকটি স্থানে মেট্রো রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ঝড়ের সময় বেলগাছিয়া স্টেশনের নিকটে একটি মেট্রো ট্রেন আটকে যায় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দলের সদস্যরা মধ্যরাত পর্যন্ত সব যাত্রীদের উদ্ধার করেন।
ভারী বৃষ্টিপাতে দক্ষিণ কলকাতার বেহালাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ঝড়ের কারণে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাও ব্যাহত হয়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী লোডশেডিং ও ট্রেনের বিলম্বের বিষয়ে অনেকেই টুইটারে অভিযোগ করেছেন।
প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ে হুগলি, হাওড়া, ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। সেসব স্থানে অনেকেই আহত হয়েছেন।
গতকাল রাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়ও এ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়।