ঝাড়খণ্ডে ছেলের বিয়েতে ‘নিষিদ্ধ মাংস’, বাবাকে মারধর

ছেলের বিয়েতে অতিথিদের নিষিদ্ধঘোষিত মাংস পরিবেশনের সন্দেহে ভারতের ঝাড়খণ্ডে রাজ্যের কোদেরমা জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে লাঞ্ছিত ও মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর জেলার নওয়াদি ও এর আশপাশের গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার কয়েকজন গ্রামবাসী ওই ব্যক্তির বাড়ির পাশের মাঠে কিছু খুর ও হাঁড় পড়ে থাকতে দেখে। তাঁদের অভিযোগ, গত সোমবার রাতে ছেলের বিয়েতে অতিথিদের নিষিদ্ধঘোষিত মাংস খাওয়ানো হয়। এ সন্দেহে গ্রামবাসী ওই ব্যক্তিকে মারধর করে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে আশপাশের বেশ কিছু বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুর করে।
কোদেরমা পুলিশ সুপার শিবানী তিওয়ারি জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য গ্রামগুলোতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশ কঠোর নজরদারি করছে।
নিষিদ্ধ মাংস পরিবেশন করা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে শিবানী জানান, হাঁড়গুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিত করা যাবে।
গত বছরের ২৯ জুনেও ঝাড়খণ্ডে একই রকম ঘটনা ঘটে। গাড়িতে গরুর মাংস বহন করার অভিযোগে রামগড়ে আলিমুদ্দিন আনসারী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এতে জড়িত থাকায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।