পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে আরেক প্রাণহানি

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। আজ শনিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে মনোনয়ন প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে একজন নিহত হন। তাঁর নাম রমজান মোল্লা (৫৮)। ভাতারের ভুমশোর গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
জানা গেছে, ভাতারের ১০৩ নম্বর গ্রাম সংসদে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন সান্ত্বনা বেগম। তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসকর্মীদের সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন সামিমা খাতুন। তাঁকে সমর্থন করেছিলেন রমজান মোল্লা।
শাসক দলের দুই পক্ষের সংঘষের সেই সময় রমজান মোল্লা রেশন দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রমজান।
এ নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে পাঁচজনের বেশি মানুষ নিহত হলেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত চারজন।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জেলায় বিরোধীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তেমনি শাসক দলের ভেতরেও গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে বাড়ছে সংঘর্ষের ঘটনা। পঞ্চায়েত ভোটে টিকেট পাওয়া নিয়ে শাসক দলের ভেতরে দানা বেঁধেছে তুমুল ক্ষোভ।
শুধু উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই শাসক দল তৃণমূল থেকেই বিক্ষুব্ধ ৫০১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এখন সেই সব প্রার্থীদের মারধর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কয়েক জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংঘর্ষের ঘটনা।
বাম, বিজেপি, কংগ্রেস রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে প্রতিদিন গলা ফাটাছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রতিরাতেই কার্যত বিরোধী প্রার্থীদের মারধর ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। বিরোধীদের ওপর আক্রমণের পাশাপাশি শাসক দলের অন্দরেও এখন গোষ্ঠী সন্ত্রাসের আতঙ্ক। ফলে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যে বাড়ছে উত্তেজনা।