ভারতে ছোটা রাজনের যাবজ্জীবন

সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যা মামলায় ভারতের অন্যতম ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন’ ছোটা রাজনসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালত। আজ বুধবার বিকালে এই নির্দেশ দেয় আদালত।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২৬ লাখ রুপি করে জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। তবে এই মামলায় অপর এক সাংবাদিক জিগনা ভোরাকে খালাস করে দিয়েছে আদালত।
২০১১ সালে মুম্বইয়ের পাওয়াইয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে। ঘটনার সময় মোটর সাইকেল চালাচ্ছিলেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার পর হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছোটা রাজনসহ আরও ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ঘটনায় অপর এক সাংবাদিক জিগনা ভোরা জোতির্ময় দে সম্পর্কে তথ্য রাজেনকে দিয়েছিলেন এই সন্দেহে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে ছোটা রাজনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ছোটা রাজনকে।
আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যমকে আক্রমন করেছিল ছোটা রাজন। ফলে এটি গণতন্ত্রের দিক থেকে আতঙ্কের। সেই বিষয়েই শেষ পর্যন্ত সায় দিল আদালত। যাবজ্জীবন সাজা ঘোষনার আগে বুধবার সকালেই অভিযুক্তদের দোষী সব্যস্ত করে। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে জিগনা বোরাকে খালাস করে দিয়েছে মহারাষ্ট্রের আদালত।’
খুন হয়ে যাওয়া জ্যোতির্ময় দে ইংরেজি দৈনিক ‘মিড ডে’র সাংবাদিক ছিলেন। অভিযোগ, ওই সাংবাদিকের ওপর বেশ কিছুক্ষণ নজর রাখার পর তাঁর ওপর গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরই তাঁকে হীরানন্দানি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
জানা যায়, ‘আন্ডার ওয়ার্ল্ডের ডন’ দাউন ইব্রাহিমের সঙ্গে সেই সময় থেকেই শত্রুতার সম্পর্ক ছিলো ছোটা রাজনের। সেই সময় ছোটা রাজন সন্দেহ করেছিল, দাউদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে ওই সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দের। সেইজন্যে তাঁর কাগজে ছোটা রাজনের বিরুদ্ধে তিনি লিখেছিলেন। এছাড়াও দাউদ ইব্রাহিমের ডি কোম্পানিকে সাহায্য করে ওই সাংবাদিক তাঁকে খুনের ছক কষছে বলেও সন্দেহ করে ছোটা রাজন। ওই সময়ই এক বৈঠকের জন্যে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে লন্ডন এবং ফিলিপাইনে যান। তিনি অপরাধ জগৎ বা ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’ নিয়ে একটি বইও লেখেন। তাঁর লেখা অন্যতম বিখ্যাত বই হল ‘জিরো ডায়াল।’