কর্নাটক থেকেই কি বিজেপি বিরোধী ডাক?

ভারতের কর্নাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অবশেষে শপথ নিচ্ছেন জনতা দলের (সেক্যুলার) বা জেডিএসের নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী। কর্নাটকে জেডিএস ও কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করল। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কংগ্রেসের জি পরমেশ্বর।
আজ বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে কর্নাটকের বিধানসভা ভবনে হবে শপথগ্রহন অনুষ্ঠান। বিজেপির বাইরে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রধানরাই এদিন উপস্থিত থাকছেন। এই মঞ্চ থেকেই ভারতের বিজেপি হঠাও জোটের উত্থান হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
জেডিএসের কর্নাটকের প্রধান এইচ ডি কুমারস্বামী। দলটির প্রধান এইচ ডি দেবগৌড়া তাঁর বাবা। তিনি একসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
এদিন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে এইচ ডি কুমারস্বামীর পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জি পরমেশ্বর। তবে এদিন অন্যান্য মন্ত্রীদের শপথগ্রহন হবে না। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে কুমারস্বামী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদে জি পরমেশ্বরকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন কর্নাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই বালা। কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার হিসাবে কে আর রমেশকুমারের নাম ঠিক করা হয়েছে। কুমারস্বামীর মন্ত্রীসভায় কংগ্রেসের থেকে মন্ত্রী হবেন ২২ জন। জেডিএস থেকে মন্ত্রী হবেন ১২ জন। নতুন মন্ত্রী ও তাঁদের দপ্তর বন্টন নিয়ে বিধানসভায় আস্থাভোটের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আস্থাভোট হবে আগামী ২৪ মে।
এদিনের শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত থাকবেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইউনাইটেড পিপলস অ্যালায়েন্সের (ইউপিএ) চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ও মায়াবতী, এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যাদব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর ও অভিনেতা তথা সদ্য রাজনীতিতে পা রখা কমল হাসানও। বিজেপির বাইরে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রধানরাই এদিন উপস্থিত থাকছেন। এই মঞ্চ থেকেই ভারতের বিজেপি হঠাও জোটের উত্থান হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
গত ১২ মে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিধানসভার ২২৪টি আসনের মধ্যে ভোট হয় ২২২টি আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১১টি আসন। সেখানে বিজেপি একাই পায় ১০৪টি আসন। কংগ্রেস পায় ৭৮টি এবং জেডিএস পায় ৩৭টি আসন।
ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপির বি এস ইয়েদুরাপ্পা গত ১৭ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তবে আস্থাভোটে পরাজিত হয়ে গত ১৯ মে পদত্যাগ করেন ইয়েদুরাপ্পা।