ভারতে নিপাহ ভাইরাস, দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরেও আতঙ্ক

ভারতে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে নিপাহ ভাইরাস। এরইমধ্যে কেবল কেরালাতেই নিপাহ ভাইরাসের কারণে মারা গেছে ১০জন। এখন তা ছড়িয়ে পড়ছে কেরালার পাশের রাজ্য কর্নাটকে। এদিকে উত্তরাঞ্চলের হিমাচল প্রদেশেও নিপাহ ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
কর্নাটক রাজ্যের দুই বাসিন্দা এরইমধ্যে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ২০ বছর ও অন্যজনের বয়েস ৭৫ বছর। ওই দুইজন সম্প্রতি কেরালা রাজ্য থেকে কর্নাটকে ফিরেছিলেন বলে জানা যায়।
কর্নাটকের স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তা রাজেশ বিভি জানিয়েছেন, আক্রান্তরা কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা। কেরালা থেকেই তাঁদের শরীরে নিপা ভাইরাসের সংক্রামন ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পর্যটকদের কেরালা এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কর্নাটকের পর্যটন দপ্তর। এমনকি কেরালা থেকে যারা কর্নাটকে আসছেন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার কথাও ভাবছে কর্নাটকের স্বাস্থ্য বিভাগ।
কেরালায় এরইমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। যার মধ্যে একজন আক্রান্তদের সেবা প্রদানকারী নার্স। এ তথ্য জানান কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেরালার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৭ জন।
নিপাহ ভাইরাসের আতঙ্ক ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যেও। হিমাচল প্রদেশের নাহান জেলার বার্মা পাপড়ি নামে একটি সরকারি স্কুল থেকে ১৮ টি মরা বাদুড় উদ্ধার হওয়ায় নিপা ভাইরাসের আতঙ্ক ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। হিমাচল প্রদেশের স্বাস্থ্য, পশু সংরক্ষন ও বন দপ্তরের কর্মকর্তারা মৃত বাদুড়ের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়েছে।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুপর্না ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, একসঙ্গে এতগুলি মরা বাদুড় পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাদুড়গুলি যেভাবে মরেছে তাতে নিপাহ ভাইরাসের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
হিমাচলপ্রদেশের নাহান জেলার স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তা ডা. সঞ্জয় শর্মা জানিয়েছেন, প্রতিবছরই বাদুড়ের উৎপাত এবং তাদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে এই বছর বাদুড়ের মৃত্যুর হারটা বেড়ে গেছে। শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীদের নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। যেহেতু এটা সংক্রামক ব্যাধি তাই কেউ এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে তার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।