গরম থেকে মুক্তি পেতে পশ্চিমবঙ্গে পান্তা উৎসব

প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তি পেতে ও বর্ষাকে বরণ করে নিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ‘পান্তা উৎসবে’র আয়োজন করা হয়েছে। হুগলি জেলার চুঁচুড়াতে পান্তা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এই উৎসবের আয়োজন করে স্থানীয় সংস্থা ‘আরোগ্য’।
উৎসবে পান্তা ভাত ছাড়াও ছিল কাঁচা মরিচ, আলু ভর্তা, পেঁয়াজ, মুড়িঘণ্ট, মাছ ভাজা, মাছের ডিমের বড়া, ইলিশ মাছ ভাজা, ভেটকি মাছসহ নানা লোভনীয় খাবার।
এখানেই শেষ নয়, খাবারের শেষে ছিল আইসক্রিম, ছিল হিমসাগর আমও।
অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০০ জনের খাবারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের মতে, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে গরম ভাত স্বাভাবিকভাবেই শরীরের গরমের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। সেখানে পান্তা ভাতের শীতলতায় শরীর ও মনকে ঠান্ডা করতেই এই পান্তা উৎসবের আয়োজন।
পশ্চিমবঙ্গে জুন মাস শেষ হতে চললেও এ বছর এখন পর্যন্ত দেখা নেই বর্ষার। মাঝে মাঝে একটু আধটু বৃষ্টি নামলেও তাতে গরম কমছে না। তাই অস্বস্তিকর গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে আর সেইসঙ্গে প্রাক বর্ষার আহ্বানে এই পান্তা উৎসবের আয়োজন।
সংস্থাটির অন্যতম কর্ণধার ইন্দ্রজিত দত্ত বলেন,‘আমরা জানি আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পান্তা খাওয়ার প্রচলন আছে। বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখে পান্তা উৎসব শুরু হয়। সেখানে নামি দামি হোটেল ও রেস্তোরাঁতেও পান্তা পাওয়া যায়।’
ইন্দ্রজিত দত্ত আরো বলেন, ‘পান্তা ভাতেরও যে উপকারিতা আছে,সেটা এই পান্তা না খেলে বোঝা যাবে না। হরেক রকম ভাজাভাজি আর অবশ্যই কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তা খাওয়ার স্বাদটাই আলাদা। গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে পান্তার গুণ অপরিসীম। তাই একদিকে গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে এবং বর্ষাকে আহ্বান জানাতে আমাদের এই পান্তা উৎসবের আয়োজন। সেইসঙ্গে আমরা এই উৎসবের মাধ্যমে বার্তা দিতে চাই,বাংলা ও বাঙালির খাদ্য তালিকায় চিরাচরিতভাবে জড়িয়ে রয়েছে পান্তা। সেই পান্তার জনপ্রিয়তা যাতে দিনে দিনে আরো বৃদ্ধি পায়,সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই অভিনব আয়োজন।’