নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ ভারত

নারীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হচ্ছে ভারত। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে করা এক প্রতিবেদনে দেখা যায় শীর্ষে থাকা ভারতের পরই আছে আফগানিস্তান। এরপর আছে সিরিয়া।
সারা বিশ্বে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ওই জরিপটি করেছে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তালিকায় সিরিয়ার পরে আছে সোমালিয়া, আর এর পরই আছে সৌদি আরব।
নারীদের জন্য বিপজ্জনক দেশগুলোর শীর্ষ ১০ এ আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নামও!
ওই সমীক্ষায় দেখা যায়, ভারতে যেভাবে নারীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয় এবং যেভাবে নারীদের উপর শোষণ করা হয় তাতে নারীদের জন্য ভারত মোটেই নিরাপদ নয়।
সমীক্ষায় প্রকাশ, ভারতে নারী নির্যাতনের হার ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। এমনকি অভিযোগ উঠেছে, এই নির্যাতন বন্ধে সদর্থক পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার। ২০১২ সালে রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে ধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনায় দোষী সাব্যস্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি। যার জেরে নারীদের ওপর ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি এবং শারীরিক নির্যাতন সেই অর্থে কমেনি। এমনকি নারীদের উদ্দেশ্যে সেভাবে কোনো সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখানো হয় না ভারতে। নিজের ঘরে বাবা, দাদা, কাকা, স্বামী, শ্বশুর, দেবর ও ভাসুরের হাতেও লাঞ্চিত হন নারীরা।
ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে নারীদের ওপর অত্যাচারের পরিমাণ ৮৩ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় সারা ভারতে চারজন করে নারী ধর্ষণের শিকার হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের সমীক্ষায় ওই তালিকার শীর্ষে ছিল আফগানিস্তান। তারপর ছিল কঙ্গো, পাকিস্তান, ভারত ও সোমালিয়া।
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারত শুধু নারী নির্যাতনেই নয়, নারী পাচার, যৌনদাসী করে রাখার ক্ষেত্রেও এগিয়ে ভারত।
তবে ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি।
জানা যায়, সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল, অনলাইনে, ফোনে এবং মুখোমুখি কথা বলে। চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৪ মে পর্যন্ত সমীক্ষাটি চালানো হয়। যেখানে মতামত দেন পেশেদার, শিক্ষাক্ষেত্র, স্বাস্থ্য, বেসরকারি ক্ষেত্র, সমাজকর্মী থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।