দিল্লিতে এক পরিবারের ১১ জনের চোখ বাঁধা ঝুলন্ত লাশ

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বুরারি এলাকায় একটি বাড়ি থেকে একসঙ্গে ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে বুরারিতে সন্ত নগরের ২ নম্বর গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে সাত নারী ও চারজন পুরুষ। এর মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে। নিহত ১১ জন একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে। একসঙ্গে কীভাবে এতজন মানুষ মারা গেল, তা স্পষ্ট নয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, এটি গণআত্মহত্যার ঘটনা। উদ্ধার করার সময় কালো কাপড়ে চোখ ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহগুলো ঘরের রেলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতদের প্রত্যেকের দেহ পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল বলেও জানা যায়।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এলাকাতেই মৃত ওই পরিবারটির একটি মুদি দোকান এবং প্লাইউডের ব্যাবসা ছিল। প্রতিদিন সকাল ৬টা নাগাদ নিয়ম অনুসারে মুদি দোকানটি খোলা হতো। কিন্তু আজ সকাল ৭টা বেজে গেলেও কাউকে দোকান খুলতে না দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। পরে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য পাড়া-প্রতিবেশীরা তাঁদের বাড়িতে গেলে জানালা দিয়ে ঘরের মধ্যে চোখ বাঁধা অবস্থায় কয়েকজনের মৃতদেহ ঝুলে থাকতে দেখেন। বাকিদের মৃতদেহগুলো মেঝেতে পড়ে ছিল। এর পরপরই এলাকাবসী পুলিশে খবর দেন।
মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা বাড়িটি ঘিরে ফেলে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।