‘বহত বহত মুবারক, সাবাশ ইমরান’, বললেন কপিল দেব

‘বহত বহত মুবারক।’ ইমরান খানকে এভাবেই শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক কপিল দেব নিখাঞ্জ।
ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার আগেই একরাশ শুভেচ্ছা জানিয়ে কপিল বলেন, ‘একজন ভারতীয় হিসেবে একজন পাকিস্তানির এমন অসাধারণ সাফল্যে খুশি তো হতেই হয়। আমার গর্ব হচ্ছে দুটি কারণে। প্রথমত, একজন ক্রীড়াবিদ এই প্রথম একটি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হলো। দ্বিতীয়ত, আমি ওর সঙ্গে খেলেছি। বৃহস্পতিবার আমি সারা দিন খবর নিয়েছি, উৎকণ্ঠায় থেকেছি, কখন আসবে সেই সুখবর। পাকিস্তানের নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা এর আগে কখনো এত বেশি আগ্রহ দেখাইনি। এবার যেহেতু ইমরান, তাই ভারতের পাশাপাশি গোটা পৃথিবী ইমরানকে নিয়ে মশগুল থাকল।’
ইমরান প্রধানমন্ত্রী হলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো হবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন কপিল দেব। তিনি বলেন, ‘আসলে আমি এমনিতেই একজন পজিটিভ মানুষ। ভালো কিছু ঘটুক, ভালো কিছুই ঘটবে, এমন ভাবতেই ভালো লাগে আমার। আমি মনে করি, ইমরান খান এমন একজন মানুষ, যাকে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মানুষই পছন্দ করে, ভালোবাসে। ইমরান প্রধানমন্ত্রী হলে পাক-ভারত সম্পর্কের উন্নতি অবশ্যই হবে। তবে সীমান্তরেখা মুছে যাবে না, কিন্তু দুই দেশের মানুষ নির্ভয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করতে পারবেন।’
কপিল দেব বলেন, ‘আমি রাজনীতির মানুষ নই, তবে এটুকু বুঝতে পারি, অধিনায়ক থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান নজর দেবেন এমন বিষয়ের ওপর, যাতে দুই দেশের মানুষ উপকৃত হবেন। আমরা একসময় একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছি, মতানৈক্য হয়েছে; কিন্তু খেলা শেষে আমরা দুজনেই সেসব ভুলে গিয়েছি। আজ সেসব ধুয়েমুছে সাফ। আমাদের বন্ধু, আমাদের সঙ্গে খেলা এক ক্রিকেটার, এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছে। বাপ রে বাপ। আমার তো খুশির শেষ নেই। আমি জানি না, ওকে কীভাবে অভিনন্দন জানাব। তবে অজস্র শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখছি। খুব মনে হচ্ছে, এখন একবার ওকে জড়িয়ে ধরে বুকে টেনে নিয়ে অভিনন্দন জানাতে।’
কপিল আরো বলেন, ‘অনেক লড়েছে ইমরান। রাজনীতির জীবনটা খুব ঝুঁকির। ইমরান কিন্তু দেশের উন্নতির জন্য ক্রিকেট ছাড়ার পর মন দিয়ে নিজের পার্টিটাকে বড় করে তুলেছেন। সত্যি বলতে কি, আমরা কেউই ভাবিনি যে ইমরান একেবারে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবে। ওয়াসিম আকরামের কাছ থেকে গত দু-তিন বছরে ইমরানের খবর পেতাম। ওয়াসিম বলত, আব টাইম আ গয়া, হমারা কাপ্তান পিএম বনেঙ্গে। তবুও আমরা বিশ্বাস করতে চাইতাম না। এখন ইমরানকে আর সেলাম না জানিয়ে উপায় আছে।’
‘ইমরানের বরাবরই সাহস এবং নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল ভয়ংকর রকমের। যে সাহস ও আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করে পাকিস্তানের ক্রিকেটকে একটা শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছিল ও। বরাবর ক্রিকেটটা খেলে গেছে বুক চিতিয়ে। রাজনীতির ময়দানেও সেটা প্রমাণ করে দিল। তাই বলতেই হচ্ছে, সাবাশ ইমরান, বেস্ট অব লাক,’ যোগ করেন কপিল দেব।