সাড়ে তিন বছর পর গন্তব্যে পৌঁছল রেল ওয়াগন

সাড়ে তিন বছর পর গন্তব্যে পৌঁছল ভারতীয় রেলের একটি ওয়াগন। ২০১৪ সালের নভেম্বরে সারের বস্তা নিয়ে ওয়াগনটি বিশাখাপত্তনাম স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। গত বুধবার সেটি উত্তর প্রদেশের বাস্তি স্টেশনে এসে পৌঁছে।
বিশাখাপত্তনাম থেকে বাস্তি স্টেশনের দূরত্ব আনুমানিক এক হাজার ৩২৬ কিলোমিটার। সাধারণত এই দূরত্ব যেতে ওয়াগনটির ৪২ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগার কথা। কিন্তু এই যাত্রাপথ পাড়ি দিতে রেল কর্তৃপক্ষ সময় নিল প্রায় সাড়ে তিন বছর।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ ওয়াগনটি বাস্তি স্টেশনে এসে পৌঁছানোর পর রীতিমতো হতবাক হয়ে যান সেখানকার রেলের আধিকারিক ও কর্মীরা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেটের এক হাজার ৩১৬টি ব্যাগ বিশাখাপত্তনাম থেকে বুকিং করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় ভারতের উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় যাদব বলেন, কখনো কখনো রেলের ওয়াগন বা কামরা চলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়লে রেল ইয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেই ওয়াগন ঠিক হলে ইয়ার্ড থেকে বের করা হয়।
এই ওয়াগনটির ক্ষেত্রেও সম্ভবত তেমন কিছু ঘটেছিল বলে দাবি করেন সঞ্জয় যাদব। তিনি বলেন, সারের ব্যাগগুলোর প্রাপক উত্তর প্রদেশের বাস্তির জনৈক ব্যবসায়ী রামচন্দ্র গুপ্তা। ইন্ডিয়ান পটাস লিমিটেডের মাধ্যমে ওয়াগনটি ২০১৪ সালে বিশাখাপত্তনাম থেকে তাঁর নামে বুক করা হয়েছিল।
তবে এ বিষয়ে রামচন্দ্র গুপ্তা বলেন, ওই মাল কোম্পানির। তিনি ওই মালের জন্য কোনো টাকা-পয়সা দেননি। এখন কোম্পানি আর রেল কর্তৃপক্ষ বুঝে নিক গোটা ব্যাপারটা।
রামচন্দ্র গুপ্তা আরো বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা ওয়াগনটির ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। রেলকে চিঠিও দিয়েছিলাম। কিন্তু রেল সেই সময় ওয়াগনটির বিষয়ে আমাদের কিছুই জানাতে পারেনি। এখন রেল আর কোম্পানি গোটা ব্যাপারটা বুঝে নিক। আমার কিছুই করার নেই।’
এ প্রসঙ্গে গোরক্ষপুরের ইন্ডিয়ান পটাস লিমিটেডের সহকারী মার্কেটিং ম্যানেজার ডি কে সাক্সেনা জানান, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে উত্তর প্রদেশের বাস্তির ডিস্ট্রিবিউটরদের জন্য বিশাখাপত্তনাম থেকে রেলের একটি রেক বুক করা হয়েছিল। কোনোভাবে হয়তো ওই ওয়াগনটি রেলের ট্র্যাক থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। এতে প্রায় ১৪ লাখ রুপির সার রয়েছে।