পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত কমিটি গঠন নিয়ে সহিংসতায় নিহত ৫

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত কমিটি গঠন এবং প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে কোন্দল ও সহিংসতায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে।
ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল কিংবা তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
গত শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের পণ্ডিতপোতায় পঞ্চায়েত নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে একজন ও গতকাল সোমবার মালদহ জেলার গোপালপুরে দুজনের প্রাণহানি ঘটে। মালদহের নিহত দুই ব্যক্তির নাম সালেম শেখ (৪০) ও আজাহার শেখ (৭০)।
মালদহের কোন্দল বিষয়ে জানা যায়, স্থানীয় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে গতকাল সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলার হুকুমতটোলা, কালীটোলা, বালুটোলাসহ বিভিন্ন গ্রাম। একপর্যায়ে বোমাবাজি ও গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। সে সময় রাস্তায় থাকা সালেম ও আজাহার গুলিতে নিহত হন। কে হবেন পঞ্চায়েতপ্রধান, এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেই বিভিন্ন গোষ্ঠীর লড়াইয়ে এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার ঘাঘরায় পঞ্চায়েত নিয়ে বিজেপি জোট ও তৃণমূলের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আরো দুই বিজেপি কর্মী। নিহতদের একজন নিরঞ্জন গোপ, অপরজনের নাম জানা যায়নি।
জানা যায়, পঞ্চায়েত নিয়ে দুই পক্ষের ওই লড়াই থামাতে গিয়ে পুলিশ গুলি চালায়। স্থানীয় বিজেপির দাবি, পুলিশের গুলিতেই মারা যান নিরঞ্জন গোপসহ দুজন। গোলাগুলি ও বোমাবাজিতে কমপক্ষে আরো ছয়জন আহত হন বলে জানা গেছে।
উত্তর দিনাজপুর, মালদা, পুরুলিয়া ছাড়াও রাজ্যের অন্য জেলাগুলোতেও পঞ্চায়েত নিয়ে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও কোন্দলের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
পঞ্চায়েত কমিটিতে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটা এসব সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল মন্ত্রিসভার এক বৈঠক আহ্বান করে তিনি জেলায় জেলায় এসব সহিংসতা থামানোর কথা বলেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যাতে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করতে তিনি বিভিন্ন জেলার শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন।