‘এখানে কেউ আছেন? থাকলে সাড়া দিন’

উড়ালসেতুর ভাঙা অংশের ওপর বানানো হয়েছে তাঁবু। উড়ালসেতুর নিচে যে ঝুপড়িগুলো ছিল সেখানে চালানো হচ্ছে উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকারীরা ভাঙা অংশের নিচে গিয়ে চিৎকার করে বলছেন, ‘এখানে কি কেউ আছেন? থাকলে সাড়া দিন।’
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত মাঝেরহাট উড়ালসেতুর একাংশ। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। ওই সময় উড়ালসেতুর ওপর থাকা একটি যাত্রীবাহী বাস, বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং একাধিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ে।
আজ বুধবারেও চলছে উদ্ধার কাজ। সেখানে যত দূর প্রবেশ করা যায় সেখানে গিয়ে উদ্ধারকর্মীরা জানতে চাইছেন কেউ আটকা আছে কি না। বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সাড়া মেলেনি। গতকাল মঙ্গলবার দুর্ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় পাঁচজন নিহত হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর যায়। পরে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দাবি করেন ওই ঘটনায় একজন মারা গেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় উড়ালসেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির অভিযোগে ওই মামলা দায়ের করে আলীপুর থানা পুলিশ। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার দুর্ঘটনার তদন্তভার দিয়েছে সিআইডিকে।
উড়ালসেতুটির একাংশ এমনভাবে ভেঙে পড়েছে যে এর নিচ পর্যন্ত পৌঁছানোই কঠিন। অনেক চেষ্টা করেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত ভেঙে পড়া উড়ালসেতুর নিচ পর্যন্ত পৌঁছাতেই পারেনি উদ্ধারকারীরা। ভাঙা অংশটির একদিকে নালা। আর তার পাশেই রয়েছে নালার লকগেট। অন্যদিকে, মেট্রো রেলের নির্মাণের কাজ চলছে একই এলাকায়। সেই নালার পাশেই রয়েছে ঝুপড়ি। ওই বাধা অতিক্রম করে ঝুপড়ির ধারে যাওয়ার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা।
এদিকে মাঝেরহাট উড়ালসেতুর একাংশ ভেঙে পড়ার কারণে কলকাতার সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার যোগাযোগের জন্য বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে রেলের শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার শিয়ালদহ-বজবজ লাইনে ব্যাহত হয়েছে রেল চলাচল।