‘নাগরিকপঞ্জির আতঙ্কে মানুষ আত্মহত্যা করছে’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ভারতের আসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির আতঙ্কে মানুষ তাঁদের মর্যাদা হারাচ্ছেন। নাগরিকপঞ্জির বহু ক্ষেত্রে স্ত্রী, ছেলে, মেয়ের নাম থাকলেও স্বামীর নাম নেই। ফলে স্বামী ভাবছেন কেউ তাঁকে আর বাবা বলে ডাকবে না। স্বামী বলে সম্মান দেবে না। আত্মমর্যাদা হারিয়ে তাই আসামের মানুষ আত্মহত্যা করছে।’
আজ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার জনসভায় এসব কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা আরো বলেন, ‘বাংলাকে আসাম হতে দেব না। আসামে ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ হয়ে যায় জাতীয় নাগরিকপঞ্জির জন্য। আসামে বাঙালি খেদাও, গুজরাটে বিহারি খেদাও এই তো চলছে। তবে এটা খুব স্পষ্ট করে জেনে রাখুন, অসহায়দের পাশে আর কেউ না থাকলেও বাংলা সবসময় থাকবে। যাদের ওরা তাড়িয়ে দেবে, বাংলা তাদের আশ্রয় দেবে। বাংলার মাটিতে মাথা উঁচু করে আত্মমর্যাদা নিয়ে সবাই থাকতে পারবে।
ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের প্রতি নিন্দা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘মারামারি, রক্তারক্তি করে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে বাঁচা যায় না। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে হয়।’
মমতা বলেন, ‘গুজরাটে বিহারিদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব বাংলার মাটিতে চলতে দেব না। ওরা যাকে তাড়াবে, তাকে আশ্রয় দেবে বাংলা। মাথা উঁচু করে মর্যাদা নিয়ে বাংলায় এসে সবাই বসবাস করতে পারবে।’
ভারতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে নাগরিকপঞ্জি করতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। এই নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়েছে আসামের ৪০ লাখ মানুষ। এই বিষয়ে শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে এই নাগরিকপঞ্জি করতে দেওয়া হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন।