ভারতে হাতির ছবি তুলতে গিয়ে জাসদ নেতার মৃত্যু

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘুরতে এসে হাতির ছবি তুলতে গিয়ে হাতির রাগের মুখে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশি পর্যটক। নিহত সৈয়দ সায়মুন কনক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় নেতা বলে জানা গেছে। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক এবং জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কার্যকরী সভাপতি প্রয়াত নূর আলম জিকুর ছেলে।
শুক্রবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের লাটাগুড়ির চন্দ্রচূড় টাওয়ারের কাছে ঘটনাটি ঘটে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে উত্তরবঙ্গের লাটাগুড়িতে আসেন পাঁচজনের একটি বাংলাদেশি পর্যটক দল। কালিম্পংয়ের জলঢাকার দলগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে উঠেছিলেন তাঁরা। সাফারি দর্শন শেষ করে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় মূর্তি হয়ে নগরকাটার খুনিয়া থেকে ফের দলগাঁওতে যাওয়ার কথা ছিলো তাঁদের।
সেইমতো রিসোর্টে যাওয়ার সময় চন্দ্রচূড় টাওয়ারের কাছে রাজ্য সড়কের ওপর একদল হাতি চলে আসে। রাস্তার ওপর চোখের সামনে হাতির পাল দেখে আর নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি ৫৮ বছর বয়সী সৈয়দ সায়মুন কনক। তিনি নিজের হাতে থাকা ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইট অন করেই হাতিদের ছবি তুলতে আরম্ভ করেন। এদিকে চোখে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইটের ঝলসানি পড়তেই রেগে যায় হাতি। পর্যটকদের দিকে তেড়ে আসে তারা। সেই সময় বাকিরা ছুটে গাড়িতে উঠে পড়লেও সৈয়দ সায়মুন কনক ছুটতে গিয়ে রাস্তার ওপর পড়ে যান। ক্ষিপ্ত অবস্থায় দামাল হাতি তাঁকে শুঁড় দিয়ে আঁকড়ে ধরে পা দিয়ে পিষে মেরে ফেলে। ঘটনাস্থলেই মারা যান সৈয়দ সায়মুন কনক।
বাংলাদেশি পর্যটক জাসদ নেতার বন্ধু কিরনশংকর মন্ডল বলেন, লাটাগুড়ির জঙ্গল সাফারি শেষ করে আমরা মূর্তি হয়ে দলগাঁওয়ের রিসোর্টে ফিরছিলাম। পথে হাতির ছবি তুলতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় নগরকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম মজুমদার জানান, হাতির হামলায় বাংলাদেশি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মর্মান্তিক এ ঘটনায় স্থানীয় বন দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, বন দপ্তরের নিয়ম অমান্য করে হাতির ছবি তুলতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।