কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করলেন মমতা

যতই ফেসবুকে কবিতা, গল্প লেখা হোক, বই হাতে না নিয়ে পড়লে শান্তি হয় না, ৪৩তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করে এ কথা বললেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা সংলগ্ন সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলার উদ্বোধন শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে বিশ্বের সেরা বই উৎসব বলে অভিহিত করেন। ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে মেলাটি চলবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের বইমেলা ঐতিহাসিক মায়া সভ্যতার দেশ গুয়েতেমালাকে থিম করে শুরু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, কলকাতা বইমেলা বিশ্বের সেরা উৎসব। এটা বইকে জানার উৎসব। বইকে ভালোবাসার উৎসব। বই মানুষের প্রাণের স্পন্দন। বইয়ের মধ্য দিয়েই শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হয়, সংস্কৃতি ও সভ্যতা গড়ে ওঠে। বইয়ের সংসার আগামী দিনে আরো বড় হোক এই কামনা করেন তিনি।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্মরণ করেন প্রয়াত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী, কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীকে। মমতা বলেন, যতই সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বাড়ুক, যতই ফেসবুকে কবিতা, গল্প লেখা হোক, বই হাতে না নিয়ে পড়লে শান্তি হয় না। মনের ভাব প্রকাশ করতে কাগজ কলমের বিকল্প নেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন গুয়েতেমালার বিশিষ্ট সাহিত্যিক এউদা মোরালেস, বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যিক শংকরসহ অন্যরা।
এ বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৮৭টি বই মেলায় পাওয়া যাবে। যারমধ্যে শিশুদের জন্যেও কিছু বই লিখেছেন তিনি। ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশ অংশ নিয়েছে এই আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায়। মেলার শেষ দিন বাংলাদেশ দিবস পালিত হবে বলে জানা গেছে।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার নিরাপত্তা জোরদার করতে দুই হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে লাগানো হয়েছে ২০০টি সিসি টিভি ক্যামেরা। সাদা পোশাকেও পুলিশ নজরদারি করবে।
এবারের বইমেলার মাঠে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয় বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে বইমেলায় আসা শিশুদের পকেটে পরিচয়পত্র রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বইমেলা প্রাঙ্গণের প্রতিটি গেটে থাকছে একটি করে ওয়াচ টাওয়ার। থাকছে ‘মে আই হেল্প ইউ’ ডেস্ক। ১০০ নম্বরে ডায়াল ছাড়াও অতিরিক্ত একটি ফোন নম্বর দিয়ে হেল্পলাইন খোলা হয়েছে।