মুরগির বাচ্চার জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুরস্কৃত ৬ বছরের শিশু

সাইকেল চালাচ্ছিল ছয় বছর বয়সী এক শিশু। কিছু বুঝে না উঠতেই সেই সাইকেলের তলায় গিয়ে পড়ে প্রতিবেশীর এক মুরগির বাচ্চা। দেরি না করে তার সঙ্গে থাকা ১০ রুপি নিয়েই আহত সেই মুরগির বাচ্চাটিকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় শিশুটি।
এরপরই এক হাতে মুরগির বাচ্চা ও আরেক হাতে ১০ রুপিসহ ওই শিশুর একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। একটি মুরগির বাচ্চার জন্য মানবিকতায় রাতারাতি অসংখ্য মানুষের আলোচনার বিষয় হয়ে যায় এই শিশু। এরপরই মানবিকতায় দৃষ্টান্ত রাখার জন্য এই শিশুকে পুরস্কৃত করে তার স্কুল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
মানবিকতার নজির স্থাপন করা এই শিশুটির নাম ডেরেক সি লালচানহিমা। সে ভারতের মিজোরামের সাইরাং এলাকার বাসিন্দা।
গত মঙ্গলবার এক হাতে মুরগির বাচ্চাসহ শিশুটির ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেন সাঙ্গা নামের এক ব্যক্তি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মিজোরামের সাইরাং এলাকার এই শিশুটি বুঝতে না পেরে প্রতিবেশীর এক মুরগির বাচ্চাকে আহত করে। এরপর সেই মুরগির বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায় সে। তারপর তার সঙ্গে থাকা সব টাকা দিয়ে মুরগির বাচ্চাটিকে সুস্থ করার জন্য সাহায্য চায়।’
ছবিতে দেখা যায়, শিশুটি কান্নারত অবস্থায় এক হাতে মুরগির বাচ্চা ও আরেক হাতে ১০ রুপি নিয়ে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছে।
শিশুটির এই ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করা সাঙ্গা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, শিশু ডেরেক পরে আহত মুরগির বাচ্চাটিকে নিয়ে তাদের বাসায় গিয়ে তার বাবা-মাকে বলে, যেন এই মুরগির বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর বাবা হাসপাতালে না গিয়ে তাকেই যেতে বলেন। পরে অবশ্য শিশুটির বাবা তাঁকে বলেন, মুরগির বাচ্চাটি আগেই মারা গেছে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কিছু হবে না বলেও জানান তিনি।
ফেসবুকে মুরগির বাচ্চাসহ শিশুটির ছবিটি প্রায় এক লাখ মানুষ শেয়ার করে। এ ছাড়া ১১ হাজার মানুষ মন্তব্যের মাধ্যমে তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। সেখানে একজন মন্তব্য করেন, ‘আমরা সবাই শিশুটির কাছ থেকে শিখলাম।’ আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, আমাদের সবারই তোমার কাছে থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।’