অনুপ্রবেশকে সহ্য করা হবে না : বিজেপি

ভারতে লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে ইশতেহার প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ইশতেহারে বিজেপি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, কোনোভাবেই অনুপ্রবেশকে সহ্য করা হবে না।
আজ সোমবার ইশতেহার প্রকাশ করে বিজেপি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
ইশতেহারে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় অনুপ্রবেশের জন্য সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। এনআরসির উপরে জোর দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ইশতেহারে আরো বলা হয়েছে, সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাঁড়াশী চাপ বাড়ানো হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটান সীমান্তে চেক পোস্ট বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
ইশতেহারে, ভারতে কাশ্মীরিদের বিশেষ অধিকার প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথাও বলা হয়েছে ইস্তাহারে।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ইশতেহার প্রকাশের পর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত পাঁচ বছরে সরকার ৫০টি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের সরকার দেশ বদলাতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। আমরা এই সংকল্পপত্র তৈরির আগে ভারতের ছয় কোটি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। ২০১৪ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি, তখন ভারত বিশ্বের একাদশতম অর্থনীতিতে ছিল, আজ আমরা পৃথিবীর মধ্যে পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতিতে অবস্থান করছি।’
রাজনাথ সিং বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দল ইশতেহারে অনেক কথা দেয়, কিন্ত আমরা কথা দিয়ে কথা রেখেছি।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আগামী দিনে গ্রামীণ ভারতের জন্য ২৫ লাখ কোটি রুপি খরচ করা হবে। কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করা হবে।’
বিজেপির সংকল্পপত্রে বলা হয়েছে, বিজেপি এলে তারা সন্ত্রাসবাদকে মেনে নেবে না। পাশাপাশি উগ্রবাদকেও সহ্য করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। বিজেপির এই ইশতেহারে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বেশ কিছু সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাকে যেমন স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে— সেই ধারা নীতিতেই আগামীতে চলতে চায় বিজেপি। জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র কেনার ওপর জোর দিয়েছে বিজেপি। ভারতের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করতে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সকে আরো বেশি শক্তিশালী করে তোলার ভাবনার কথাও উল্লেখ রয়েছে।