স্মৃতি ইরানির একেক ভোটে একেক শিক্ষাগত যোগ্যতা!

এর আগে ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের হলফনামায় নিজেকে স্নাতক পাস দাবি করলেও এবারের নির্বাচনের হলফনামায় স্বীকার করে নিয়েছেন, স্নাতক পাস করেননি বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আমেথিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় দেওয়া হলফনামায় এমনটাই জানালেন স্মৃতি ইরানি। এবারও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এর আগে স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। তবে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে এই প্রথম স্মৃতি ইরানি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা স্বীকার করে নিলেন।
নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া হলফনামায় স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, তিন বছরের ডিগ্রি কোর্সের পার্ট ওয়ান পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। শেষ করেননি ডিগ্রি কোর্স। যার ফলে তিনি স্নাতক পাস নন। তবে ১৯৯৪ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন লার্নিং কোর্সে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
উত্তর প্রদেশের আমেথি কেন্দ্র থেকে লড়াই করার আগে ২০০৪ সালে দিল্লির চাঁদনিচক কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। তখন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী কপিল সিব্বল।
ওই সময় স্মৃতি তাঁর হলফনামায় লিখেছিলেন, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেছেন। তবে এবার তিনি স্বীকার করে নিলেন, তিনি স্নাতক পাস নন।
২০১৪ সালে এই আমেথি কেন্দ্র থেকেই রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। রাহুল গান্ধীর কাছে এক লাখেরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। তবে পরাজিত হলেও হাল ছেড়ে দেননি স্মৃতি। স্মৃতি জানিয়েছেন, এবার তিনি জিতবেন।