পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় কিশোর গুলিবিদ্ধ

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
ভোট-পরবর্তী সময়ে আজ শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার মকদুমি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ কিশোরের নাম মহম্মদ আবদুল।
জানা গেছে, গতকাল ভোট গ্রহণের পর আজ সকাল থেকে চোপড়ার মকদুমি এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সকালে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ওই এলাকায় এসে হামলা চালায়। এ সময় পাল্টা প্রতিরোধ করে তৃণমূল। শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। চলে গুলি ও বোমাবাজি। ওই সময় রাস্তায় দুপক্ষের সংঘর্ষের মাঝপথে পড়ে যায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মহম্মদ আবদুল। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় সে।
পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় দলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এ ছাড়া চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার আগে চোপড়া এলাকায় ভোট দিতে বাধা দেওয়া ও নারী ভোটারদের মারধর করার অভিযোগও ওঠে।
এ ছাড়া গতকাল ভোটের সময় ছত্তিশগড়ের কান্ধমাল এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মাওবাদীদের হামলায় এক ভোটকর্মী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ১১টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট পড়েছে ৬৬.৬৩ শতাংশ। তবে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড় ও পুদুচেরিতে ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশের ওপর।
কমিশনের ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার উমেশ সিনহা জানান, দ্বিতীয় দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া ভোট ছিল শান্তিপূর্ণ। দ্বিতীয় দফায় ভারতের মোট ৯৫টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। এর মধ্যে তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণও অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতের চলতি লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় জম্মু-কাশ্মীরে ৫০ শতাংশের ওপর ভোট পড়লেও দ্বিতীয় দফায় সেখানে ভোট পড়েছে মাত্র ৪৫.৫ শতাংশ। তবে দ্বিতীয় দফায় ভোটের হারে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে আসাম, ছত্তিশগড় ও পুদুচেরি। দ্বিতীয় দফায় আসামে ভোট পড়েছে ৭৬.২২ শতাংশ, বিহারে ৬২.৩৮, জম্মু-কাশ্মীরে ৪৫.৫, কর্ণাটকে ৬৭.৬৭, মহারাষ্ট্রে ৬১.২২, মণিপুরে ৬৭.১৫, উড়িষ্যায় ৫৭.০৭, তামিলনাড়ুতে ৬৬.৩৬, উত্তর প্রদেশে ৬৬.০৬, পশ্চিমবঙ্গে ৭৬.৪২, ছত্তিশগড়ে ৭১.৪০ ও পুদুচেরিতে ভোট পড়েছে ৭৬.১৯ শতাংশ।