ইন্দিরাকে অনুসরণ করেই দেশের জন্য কাজ করতে চাই : প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

আমি আমার ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীকে অনুসরণ করেই দেশের জন্য কাজ করতে চাই। শনিবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে কংগ্রেস প্রার্থী শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়ালের হয়ে প্রচারে বেরিয়ে একথা বললেন ভারতের জাতীয় কংগ্রসের সভাপতি রাহুল গান্ধীর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে যে প্রিয়াঙ্কার চেহারার মিল রয়েছে তা এখন ভারতীয়দের মুখে প্রায়ই শোনা যায়। অনেকে বলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভাবভঙ্গি, হাসি, আদবকায়দা সব কিছুতেই তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরার ছায়া রয়েছে। মানুষ যে তাঁকে নিয়ে তাঁর প্রয়াত ঠাকুমার সঙ্গে তুলনা টানেন সে কথা প্রিয়াঙ্কা নিজেও জানেন।
এদিন ভারতের উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা বলেন, ইন্দিরাজির কাছে আমি কিছুই নই। কিন্তু দেশের জন্য সেবা করার যে ইচ্ছে তিনি পোষণ করতেন, সেই একই ইচ্ছে আমিও পোষণ করি। আমি ও আমার দাদার (রাহুল গান্ধী) কাছ থেকে কেউই সেই ইচ্ছাটুকু ছিনিয়ে নিতে পারবেন না।
এরপরেই সাধারণের উদ্দেশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, আপনারা চান বা না চান, আমরা আপনাদের সেবা করে যাওয়ার চেষ্টা করব।
প্রিয়াঙ্কা ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, দেশের নয়, বিজেপি কেবল নিজেদের উন্নতি নিয়েই ভাবে। নিজেদের উন্নতি ছাড়া ওদের আর কোনো লক্ষ্য নেই।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, সরকার দুই ধরনের হয়। কেউ দেশের কথা ভাবে, আর কেউ নিজেদের কথা ভাবে। বর্তমান বিজেপি সরকার হলো দ্বিতীয় ধরনের। তারা নিজেদের কথাই ভাবে। আত্মপ্রচার ছাড়া ওরা আর কিছুই জানে না।
প্রিয়াঙ্কা এদিন কানপুরে কংগ্রসের এক রোড শোতে অংশ নিয়ে বলেন, আজ ভারতের মাটিতে যুব সমাজের কাজ নেই। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আত্মহত্যা করছেন কৃষকরা। আমরা বলেছি, প্রতি বছর ভারতের দরিদ্র মানুষদের ৭২ হাজার করে রুপি দেব।
এদিন প্রিয়াঙ্কা মোদী সরকারের নোট বাতিল ও জিসিএসটি চালুর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, ওই দুই সিদ্ধান্তের কারণে ভারতের একটা বিশাল সংখ্যক মানুষ সবদিক থেকেই ভেঙে পড়েছেন।
তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মধ্যে তুলনা টেনে বলেন, এই দুজনকে ভালো করে আপনারা দাঁড়িপাল্লায় বসিয়ে দেখুন। একজন কোনো কিছুই সহ্য করতে পারেন না। আর একজন প্রায় প্রতিদিনই অকথ্য অপমান সহ্য করে চলেছেন। বিজেপি তো প্রতিদিন রাহুল গান্ধীকে অপমান করে। তাঁর (রাহুল গান্ধী) মা, বাবা, ঠাকুমা সবার নামেই বাজে কথা বলে যায় দিনের পর দিন। অথচ রাহুল গান্ধী হাসিমুখে শুনে যান। তিনি নিজেকে প্রতিদিন আগের দিনের থেকেও আরো বেশি উন্নতি করার কথা ভাবেন। যারা তাঁর সমালোচনা করেন, তাঁদের মুখ চেপে ধরার কথা ভাবেন না। একেই বলে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা।