ভারতীয়রা ‘জয় শ্রীরাম’ বলবে না তো কি পাকিস্তানিরা বলবে?

‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিকে ইস্যু করে এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের ঘাটালে নির্বাচনী প্রচারে এসে অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘ভারতের মানুষ জয় শ্রীরাম বলবে না তো কি পাকিস্তানের মানুষ জয় শ্রীরাম বলবে?’
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করেন শাহ। কয়েকদিন আগে মমতার গাড়ি বহরের সামনে কয়েকজন যুবক জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ায় মেজাজ হারান মমতা। তিনি গাড়ি থেকে নেমে ওই যুবকদের ধাওয়া করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় অমিত শাহ বাংলায় পা রেখে ঘাটালের জনসভায় বলেন, ‘বাংলায় জয় শ্রীরাম বলায় মমতাদির আপত্তি আছে। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক রাজা রামচন্দ্রের নাম নিতে ভারতের মাটিতে কি কেউ বাধা দিতে পারে? রামের নাম ভারতে নেবে না তো কি পাকিস্তানে নেবে?’ এরপরই দুহাত তুলে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যত মামলা করতে ইচ্ছা হয় করুন। কিন্ত ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে আমাকে বিচ্যুত করতে পারবেন না।
বিজেপির সভাপতি বলেন, বাংলা ভাষার গরিমার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা। কিন্তু ক্ষমতায় এসে ইসলামপুরে স্কুলে ছাত্রদের দাবি অগ্রাহ্য করে উর্দু শিক্ষক নিয়োগ করেছেন তিনি। প্রতিবাদ করায় ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়েছে তাঁর পুলিশ। আপাতত সেই পুলিশকর্মীদের মমতা সরকার বাঁচালেও বিজেপি ক্ষমতায় এলেই তাদের শাস্তি হবে।
নির্বাচনী প্রচারে বারবার নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বলে মানি না বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সংবিধান মানেন? সেই সংবিধান অনুসারে দেশের মানুষের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানলেন কি মানলেন না তাতে কিচ্ছু যায় আসে না।’
এদিন অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। বলেন, দিল্লি থেকে যে টাকা আসছে তা সিন্ডিকেটে লুট করছে। সেই লুটের টাকার ভাগ গুণ্ডারাও পাচ্ছে না। সব টাকা আসছে ভাইপোর কাছে। ভাইপো সেই টাকা বিদেশে পাচার করছে।