ভারতের নির্বাচনে শত ভাগেরও বেশি ভোট!

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে লাদাখের কারগিল জেলার জনস্কর উপজেলায় ৬ মে পঞ্চম ধাপের ভোটে তিনটি বুথে শত ভাগেরও বেশি ভোট পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সেখানকার অপর তিনটি বুথে শতভাগ এবং কয়েক ডজন বুথে নব্বই ভাগেরও বেশি ভোট পড়েছে। খবর : টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া অনলাইনের।
গোটা জনস্করে ‘অস্বাভাবিক’ ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মাত্র ৩৬ ভোটে বিজেপি প্রার্থী জিতেছিলেন। এখানে প্রতিটি ভোটের গুরুত্ব অনেক বেশি।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কারগিলের বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ এই জনস্কর উপজেলায় ভোটের আগ থেকেই বৌদ্ধ ধর্মীয় কিছু সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরকারি দল বিজেপির জন্য ভোট চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপি বাদে প্রায় সব প্রার্থীই জালভোট, ভোটে ধর্মীয় প্রভাব খাটানো এবং তাদের পোলিং এজেন্টদের হুমকিধমকির অভিযোগ তোলেন।
তবে জালভোটের অভিযোগের বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বসিরুল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘অভিযোগকারীরা বলছেন, গোটা মহল্লার লোকেরা এসব করেছে। আমি মহল্লার কয়জনকে গ্রেপ্তার করতে পারি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা অবনী লাভাসা ভোটের দিন নির্বাচন কর্মকর্তাকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘জনস্কর বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও জনস্কর গনপা অ্যাসোসিয়েশন তাদের সদস্যদের সামাজিক বয়কটের ভয় দেখাচ্ছে। তারা বিজেপির প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এটা ভোটের নিয়মনীতির চরম লঙ্ঘন।’
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনস্করকে স্বতন্ত্র জেলা ঘোষণা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী জারিং নামগ্যাল। এ কারণেই বৌদ্ধ নেতারা বিজেপির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন।
এ নিয়ে ভোটের আগে বেশ কয়েকবার নির্বাচন অফিসে অভিযোগ জানান কংগ্রেস প্রার্থী রিগজিন স্পিলবার। ৫৬টি বুথে বিজেপি বাদে অন্যান্য দলের কোনো এজেন্টই ছিল না জানিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, ‘ভোটে ব্যাপক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।’ স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী সাজ্জাদ হুসাইন এবং আসগার আলী কারবালাইও এ নিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে কারগিলের নির্বাচন কর্মকর্তা বসিরুল হক চৌধুরী বলেন, শতভাগেরও বেশি ভোট পড়ায় দোষের কিছু নাও থাকতে পারে। কেননা ওইসব কেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেদের ভোটও প্রদান করেন। ফলে ভোট শতভাগের কিছু বেশি হতেই পারে।
অন্যদিকে লাদাখের লেহ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের ঘুষ প্রস্তাবের অভিযোগে লাদাখ বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা বিক্রম রানধাওয়াকে আটক করা হয়েছে। ভোটের আগে বিজেপির পক্ষে সংবাদ করার জন্য সাংবাদিকদের ঘুষ প্রস্তাব করেন তিনি।