আমি পর্দার প্রধানমন্ত্রী, শুধু এমপি হব কেন?

বলিউড তারকা বিবেক আনন্দ ওবেরয় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দারুণ ভক্ত। ইতিমধ্যে মোদিকে নিয়ে বানানো সিনেমায় মোদির চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
সম্প্রতি বিবেক ওবেরয়কে প্রশ্ন করা হয় তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করবেন কি না। জবাবে বিবেক দারুণভাবে বিষয়টি সামাল দেন।
বিবেক বলেন, ‘আমি পর্দায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছি তাই আর এমপি হব না।’
সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের করা এক প্রশ্নের জবাবে বিবেক আরো বলেন, ‘না, ২০০৪ সালে আমাকে প্রথমবার সংসদ সদস্য হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আমি রাজি হইনি। তারপর আরো পাঁচ বার একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের দলগুলো থেকে, কিন্তু তাতেও আমি রাজি হইনি। আমি পরিষ্কার বলে দিয়েছি— না।’
‘কে এমপি হতে চাইবে বলুন, তিনি যদি পর্দায় প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন?’, বলেন বিবেক।
উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আগামী ২৩ মে ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন চলাকালে নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক মুক্তি দিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সুখবর এই, জানা গেছে ভোটের ফলাফল পাওয়া মাত্রই, অর্থাৎ ২৪ মে মুক্তি পেতে চলেছে অভিনেতা বিবেক ওবেরয় অভিনীত নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক। বহু বিতর্ক পেরিয়ে শেষে ভোটের ফলাফল মিটতেই তার পরের দিনই মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
প্রযোজক সংস্থা জানিয়েছে, নির্বাচন পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পরের দিনই মুক্তি পাচ্ছে ওই সিনেমা। এর আগে, মোদির বায়োপিক মুক্তি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলে। শেষে নির্বাচন কমিশন বন্ধ করে দেয় সিনেমার মুক্তি। দীর্ঘ বিতর্কের পথ পেরিয়ে শেষমেশ স্ক্রিনে আসতে চলেছে ‘পিএম নরেন্দ মোদি’। যদিও ভোট পরবর্তী সময়ে সিনেমা মুক্তির ঘটনায় অসন্তুষ্ট নির্মাতারা।
জীবনের নানা উত্থান-পতন, সংঘের সঙ্গে মোদির সম্পর্ক, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যাত্রাপথ সবই দেখা গিয়েছিল সিনেমার ট্রেলারে। তার পরই মোদির বায়োপিক মুক্তির দিনক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। ভোটের আবহে প্রথমে ৫ এপ্রিল এবং পরে ১১ এপ্রিল বায়োপিক মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনের সময় এই সিনেমা ভোটারদের প্রভাবিত করবে বলেই আশঙ্কা করে বিরোধীরা। সেই বিরোধ গড়ায় সর্বোচ্চ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশন ১৯ মে পর্যন্ত সিনেমা মুক্তি কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দেয়।