অমিত শাহকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানালেন মোদি

ভারতে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন মন্ত্রিসভার ৫৪ সদস্য। তাঁদের মধ্যে কেন্দ্রীয় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ২৪ জন। এ ছাড়া স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে ৯ ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ২৫ জন।
আজ শুক্রবার সকালে শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মধ্য থেকে কে কোন দপ্তরে বসবেন, সে ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বিজেপিকে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আনার পুরস্কার পেলেন দলটির সভাপতি অমিত শাহ। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।
নিজের হাতে পরমাণু শক্তি ও মহাকাশ-সংক্রান্ত দপ্তর রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমিত শাহকে। আগের সরকারের আমলে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন রাজনাথ সিং। এবারে রাজনাথ সিং পেয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। অন্যদিকে গত মোদি সরকারের আমলে নির্মলা সীতারমণ পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এবারে তাঁকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এদিকে বিগত সরকারের আমলে অর্থমন্ত্রী থাকা অরুণ জেটলি এবারের মন্ত্রিসভায় নেই। শারীরিক অসুস্থতার কারণে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে গেছেন তিনি।
এদিকে, নতুন মন্ত্রিসভায় নেই গতবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আরেক মন্ত্রী সুষমা স্বরাজও। সে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্করকে। স্মৃতি ইরানিকে দেওয়া হয়েছে দুটি মন্ত্রণালয়। নারী ও শিশুকল্যাণসহ বস্ত্র মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়েছে তাঁকে। গতবারে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মানেকা গান্ধী এবারে মন্ত্রিসভায় নেই।
এ ছাড়া বরাবরের মতো সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন নীতিন গড়কারি। সেইসঙ্গে এবারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। চিকিৎসক ড. হর্ষবর্ধনকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয় ছাড়াও বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আর্থ সায়েন্স দপ্তরের দায়িত্বও পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া সদানন্দ গৌড়া পেয়েছেন রসায়ন ও সার মন্ত্রণালয়, রামবিলাস পাসোয়ান পেয়েছেন উপভোক্তা ও খাদ্য দপ্তর, নরেন্দ্র সিং তোমার পেয়েছেন কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন, পঞ্চায়েতি রাজ ও গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রণালয়, রবিশংকর প্রসাদ পেয়েছেন আইন, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিকস, থর চাঁদ গেহলটকে দেওয়া হয়েছে সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন, রমেশ পোখরিওয়াল পেয়েছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্জুন মুন্ডা পেয়েছেন উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রিসভার অন্যদের মধ্যে প্রকাশ জাভড়েকরকে দেওয়া হয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তর এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, পীযুষ গোয়েল পেয়েছেন রেল, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ধর্মেন্দ্র প্রধান পেয়েছেন পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং স্টিল দপ্তর, মুখতার আব্বাস নকভিকে দেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রহ্লাদ যোশি পেয়েছেন সংসদবিষয়ক এবং কয়লা ও খনি মন্ত্রণালয়, মহেন্দ্র নাথ পান্ডেকে দেওয়া হয়েছে ডেভেলপমেন্ট ও এন্টারপ্রেনারশিপ মন্ত্রণালয়, হরসিমরত কৌর বাদল পেয়েছেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তর, অরবিন্দ গণপত সোয়ান্ত পেয়েছেন ভারী শিল্প ও সরকারি সংস্থা, গিরিরাজ সিং পশুপালন, ডেয়ারি ও মৎস্য মন্ত্রণালয় এবং গজেন্দ্র সং শেখওয়াত পেয়েছেন পানিশক্তি মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাবুল সুপ্রিয় পেয়েছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব এবং দেবশ্রী চৌধুরী পেয়েছেন নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর পদ।