শক্তিশালী ভূমিকম্পে পাকিস্তান-আফগানিস্তানে নিহত ২৮০

শক্তিশালী ভূমিকম্পে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে প্রায় ২৮০ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে আফগানিস্তানে ১২ স্কুলছাত্রী রয়েছে, যারা মারা গেছে হুড়োহুড়ির সময় পদদলিত হয়ে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৯ মিনিটে সংঘটিত প্রায় এক মিনিটের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে, এর গভীরতা ছিল ২১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার। urgentPhoto
২০০৫ সালে যে জায়গায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, সেখান থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরেই এ ভূমিকম্পের উৎপত্তি। ১০ বছর আগের সে ভূমিকম্পে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।
ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছে ৬৩ জন, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ ও কেন্দ্রশাসিত উপজাতি এলাকায় মারা গেছে ১২০ জনের বেশি। পাঞ্জাবে পাঁচ ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চারজন নিহত হয়েছে। বিধ্বস্ত অঞ্চলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে পাকিস্তান।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানিয়েছে, প্রান্তিক অঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের দিল্লি, কাশ্মীর, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভবন কাঁপতে থাকায় শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। ভূমিকম্পের সময় দিল্লির মেট্রো ট্রেন সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ চালু হলেও ট্রেন ধীরগতিতে চলে।
কাশ্মীর থেকে পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘কিছু সেতু ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, ধসে পড়ার আশঙ্কায় শ্রীনগর ফ্লাইওভারে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ শোক প্রকাশ করেন।