কাশ্মীরের সংরক্ষণ নিয়ে লোকসভায় প্রথম বিল পেশ করছেন অমিত শাহ

লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের সংরক্ষণ সংশোধন বিল পেশ করবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা সাংসদ হিসেবে সংসদে এটাই হতে চলেছে তাঁর প্রথম পদক্ষেপ।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গত মাসে বিজেপির জয়ের পর নির্বাচিত সাংসদ হিসেবে মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছেন তিনি। এর আগেই এই বিলটিকে অর্ডিন্যান্স হিসেবে পেশ করা হয়েছিল। সোমবার নিম্নকক্ষে বিলটি পেশ করার পাশাপাশি নিম্নকক্ষে বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে বক্তব্যও দেবেন অমিত।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ‘জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধন) অর্ডিন্যান্স ২০১৯'-এ সম্মতি জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেটিকে ‘ক্লিয়ার’ও করে দেন। জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ আইন ২০০৪-এর বদল আনতেই এই সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছে। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সীমান্তের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদেরও সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে, প্রকৃত ‘লাইন অব কন্ট্রোল'-এর নিকটবর্তী মানুষদের মতোই।
ওই বিলের লক্ষ্য, অর্ডিন্যান্স পাস করিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের দুর্বল অর্থনৈতিক শ্রেণির মানুষদের জন্য ১০ শতাংশের সংরক্ষণ। এর ফলে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দুর্বল অর্থনৈতিক শ্রেণির প্রতিনিধি যেকোনো যুবক-যুবতীর পক্ষে রাজ্য সরকারের অধীনে চাকরির সম্ভাবনার পথ তৈরি হবে।
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ১০৩তম সংবিধান সংশোধনের সময় গোটা দেশেই দুর্বল অর্থনৈতিক শ্রেণির মানুষদের জন্য ১০ শতাংশের সংরক্ষণ চালু করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ওই বিল পেশ করার মাধ্যমে অমিত শাহ সাংসদ হিসেবে কোন পথে চলবেন, তাই যেন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ফলে এই বিলকে সেদিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারের সময় বিজেপি নেতা দাবি করেছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে সংবিধানের ৩৭০ নং অনুচ্ছেদকে বাতিল করবেন। প্রসঙ্গত এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান, পতাকা ও নিজস্ব আইনবিধি প্রয়োগের অধিকার রয়েছে, যতক্ষণ না দেশের জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টি বিঘ্নিত হচ্ছে।
এরই পাশাপাশি ৩৫এ অনুচ্ছেদটিও বাতিল করতে চায় বিজেপি। ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দাদের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বহিরাগতদের এখানে সম্পত্তি ক্রয় ও সরকারি চাকরি পাওয়া সম্ভব হয় না। এই দুই অনুচ্ছেদই জম্মু ও কাশ্মীরের অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। সেই জনসঙ্ঘের আমল থেকে এটাই বিজেপির মূল মতাদর্শ।