নিহত পেহলু খানের বিরুদ্ধেই চার্জশিট!

২০১৭ সালের এপ্রিল মাস। রাজস্থানের জয়পুরের পশুরহাট থেকে গরু কিনে হারিয়ানায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন পেহলু খান, সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলেও। সেই সময়েই রাজস্থান থেকে বিনা অনুমতিতে গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার অজুহাতে পেহলু খানকে পিটিয়ে হত্যা করে গোরক্ষকরা।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, দুই ছেলের সঙ্গে গরু কিনে ট্রাকে করে হারিয়ানা যাওয়ার সময় জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়কে তাঁদের গাড়ি থামায় গোরক্ষকরা। তারপর গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় পেহলু খানকে। মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, পেহলুকে ঘাড় ধরে নামিয়ে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুদিন পরে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়। যে ৮ জন অভিযুক্ত পেহলুকে সেদিন মারধর করে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রথমটি এবং দ্বিতীয়টি জেলা প্রশাসকের বিনা অনুমতিতে গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মৃত পেহলু ও তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে।
তবে দ্বিতীয় এফআইআরের ভিত্তিতেই এবার চার্জশিট পেশ করেছে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। পেহলু খানের মৃত্যু হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা না চললেও তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে চলবে মামলা।
রাজস্থানের আইন বিভাগের একাধিক ধারা অনুযায়ী গবাদী পশু হত্যা ও চোরাচালানের অভিযোগ আনা হয়েছে পেহলু ও তাঁর ছেলেদের বিরুদ্ধে। এই চার্জশিট পেশের পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।
এই ব্যাপারে এক বিবৃতিতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলেট বলেন,“বিজেপি সরকারের আমলে ওই ঘটনার তদন্ত করা হয়েছিল এবং সে সময়ই ওই চার্জশিট পেশ করা হয়। এর মধ্যে কোন অসঙ্গতি পাওয়া গেলে ঘটনার পুনরায় তদন্তে করা হবে''।
গণপিটুনিতে অভিযুক্ত আট জনকেই জামিনে মুক্ত দেওয়া হয়েছে, যাঁদের মধ্যে দুজন এখন পলাতক।