ভারতের হাইকমিশনারকে সিন্ধু ক্লাবে ঢুকতে বাধা!

সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে দূরত্ব বেড়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে যোগ হয়েছে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার টিসিএ রাঘভনকে অপমানের ঘটনা। গত ২৬ অক্টোবর পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচিতে একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে ঢুকতে দেয়নি সিন্ধু ক্লাব।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পাকিস্তান-ইন্ডিয়া সিটিজেন ফেন্ডশিপ ফোরামের আয়োজনে ওই অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হয়েছিল হাইকমিশনারকে। কিন্তু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য করাচি পৌঁছালে তাঁকে অনুষ্ঠানে না আসার বার্তা পাঠানো হয়।
রাঘভনকে কর্মকর্তারা জানান, সিন্ধু ক্লাব তাঁকে আপ্যায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই খবরে তিনি খুবই ব্যথিত হন এবং অপমানবোধ করেন। নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে তাঁকে আপ্যায়ন না জানানোর সিদ্ধান্তের কোনো কারণ ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানায়নি করাচির সবচেয়ে পুরনো এই ক্লাব।
পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নাতি লিয়াকত মার্চেন্ট এই ক্লাবের সহসভাপতি। ১৮৭১ সালে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ২৬ অক্টোবরের অনুষ্ঠানে মার্চেন্টের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। মুম্বাইয়ে পাকিস্তানের গজলশিল্পী গোলাম আলীর অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়াসহ ভারতের হিন্দুত্ববাদী দল শিব সেনার নানা কর্মকাণ্ডে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ফের টানাপড়েন দেখা দিয়েছে।
অবশ্য রাঘভনের মতো পাকিস্তানের হাই কমিশনার আবদুল বাসিতকেও ভারতে এই ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই বছরের শুরুর দিকে বাসিতের চণ্ডীগড় সফরের কথা ছিল। কিন্তু যাত্রা করার কয়েক ঘণ্টা আগে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সরকার তাঁকে একটি বার্তা দিয়ে জানায়, তারা তাঁকে আতিথ্য দিতে চায় না।