কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন স্বয়ংক্রিয় ড্রোন বানাচ্ছে ভারত

এক দশক পরেই ঝাঁকে ঝাঁকে চালকবিহীন ড্রোন নিয়ে শত্রুপক্ষের আকাশসীমায় আঘাত হানতে পারবে ভারত। স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে তাতে হামলা চালাতে সক্ষম হবে নতুন এই ড্রোনগুলো। এরই মধ্যে এ ধরনের ড্রোন তৈরির কাজ শুরু করেছে দেশটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি আজ শুক্রবার তাদের এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে।
এই ড্রোনগুলোর এক একটি ঝাঁকে কয়েক ডজন ড্রোন থাকে এবং সেগুলো একসঙ্গে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম। এর ফলে শত্রুপক্ষ যদি ওই ঝাঁক থেকে কয়েকটি ড্রোন গুলি করে নামাতে সক্ষমও হয় তবু বাকি ড্রোনগুলো শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষাকে তছনছ করে দিতে পারবে বলে ওই খবরে বলা হয়।
ভারতীয় সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড, নিউ স্পেস রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিসের ইঞ্জিনিয়ার ও সফ্টওয়্যার বিশেষজ্ঞদের একটি দল অত্যাধুনিক বিমান প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গত দুই বছর ধরে নিরলস পরিশ্রম করে দেশটির প্রথম গুচ্ছ ড্রোন তৈরিতে কাজ করছে।
স্বয়ংক্রিয় এই গুচ্ছ ড্রোনের নাম রাখা হয়েছে ‘এয়ার লঞ্চড ফ্লেক্সিবল অ্যাসেট (সোয়ার্ম) বা আলফা-এস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলফা-এস ড্রোনে দুটি ভাঁজযোগ্য ডানা থাকবে। এই ডানাগুলো হবে ১ থেকে ২ মিটার লম্বা। এগুলো ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলোতে বহন করা যাবে। নিরাপদ স্থান থেকে এগুলো আকাশে ছেড়ে দিলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছে যাবে। ব্যাটারিচালিত এই ড্রোনগুলো ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারবে। এই ব্যাটারিগুলো চালু থাকতে পারবে কয়েক ঘণ্টা। এর মধ্যেই লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে সেখানে আত্মঘাতী হামলা চালাবে আলফা-এস ড্রোন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়াসহ বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ এই প্রযুক্তির ড্রোন তৈরিতে কাজ করছে। ভারতও সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে। তবে এই বিশেষ প্রযুক্তির ড্রোনগুলো তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে নির্মাতা দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতা রয়েছে। তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যাবলি জানা যায় না।