হানাহানি বন্ধে মোদিকে বুদ্ধিজীবীদের চিঠি

ভারতের মাটিতে অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন দেশটির বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা। ভারতে বিভিন্ন সময়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু, জয় শ্রী রাম ধ্বনি নিয়ে বাড়াবাড়ির অভিযোগ এনে এবার সরব হলেন বুদ্ধিজীবারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে সই করেছেন মণিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, আদুর গোপাল কৃষ্ণ, বিনায়ক সেনসহ আরো অনেকে।
ভারতজুড়ে অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে এই চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সই করেছেন চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি জগতের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ, অনুপম রায়, ঋদ্ধি সেন, সংগীত শিল্পী শুভা মুদগল, অনুপম রায়, রূপম ইসলামের মতো আরও অনেকেই।ভারত জুড়ে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ। মহামারির আকার নিয়েছে গণপিটুনি। জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে হামলা হচ্ছে দলিত, মুসলিমদের ওপর। আর এতেই বেজায় চটেছেন দেশের বিশিষ্টজনরা।
দেশের এই অস্থির পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের কপালেই পড়েছে ভাঁজ। জয় শ্রীরাম থেকে গণপিটুনি, যাবতীয় অসহিষ্ণুতামূলক বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো বিদ্বজ্জনদের সেই চিঠিতে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতে ধর্মের দোহাই দিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে চলছে হানাহানি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবজাতি আজ সংকটাপন্ন। শিল্প, সংস্কৃতি ও সৃজনশৈলীর কোনো জাত হয় না। আর সেই বিষয়টিকে পাথেয় করেই আজ দেশের ভিন্ন ময়দানের বিদ্বজ্জনরা জড়ো হয়েছেন। সমস্বরে মুখ খুলেছেন জয় শ্রীরাম থেকে গণপিটুনি, যাবতীয় অসহিষ্ণুতামূলক বিষয় নিয়ে। বারবার তাঁরা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে কেন দিনের পর দিন এই অসহিষ্ণুতা চলতে থাকবে?
অসহিষ্ণুতা হল একপ্রকার মধ্যযুগীয় বর্বরতা ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে এই কথা উল্লেখ করেছেন বিশিষ্টজনরা। পাশাপাশি, দলিত ও সংখ্যালঘুদের ওপর বেড়ে চলা হামলার বিরুদ্ধেও সওয়াল করেছেন তাঁরা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় রোজ কোথাও না কোথায় গণপিটুনিতে নিহত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। স্বজনহারা হচ্ছে কত পরিবার। শুধু সংখ্যালঘুই নয়, হামলা হচ্ছে জয় শ্রীরাম না বলা মানুষগুলোর ওপরও। এই প্রসঙ্গে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দাবি করেছেন তাঁরা।