মেয়ের বিয়ে : মুক্তি পেলেন রাজীব গান্ধী হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নলিনী শ্রীহরণকে কারাগার থেকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মেয়ের বিয়েতে যোগদানের জন্যই এক মাসের জন্য মুক্তি পেয়েছেন নলিনী।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভেলোর কারাগার থেকে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি পেয়ে নিজের বাড়ি গিয়েছেন নলিনী। জানা গেছে, কিছুদিন পরেই তার মেয়ে মেগারার বিয়ে। আর সেই বিয়ের আয়োজন ও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যই নলিনীকে কারাবাস থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে।
নলিনীর এই মেয়ের জন্ম জেলে থাকা অবস্থাতেই হয়। তিনি এখন ব্রিটেনে ডাক্তারি পড়ছেন। আগামী সপ্তাহেই দেশে ফিরে আসবেন তিনি। তবে মেয়ের বিয়ের জন্য কিছুদিনের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি মিললেও তার ওপর রয়েছে কয়েকটি কড়া নিষেধাজ্ঞা। ভেলোরের বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না নলিনী এবং এই সাময়িক মুক্তির সময়কালে কোনো রাজনৈতিক নেতা বা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির সঙ্গেও কথা বলতে পারবেন না তিনি।
খবরে বলা হয়, গত মাসে নলিনীর এক মাসের ছুটি মঞ্জুর করেন মাদ্রাজ হাইকোর্ট। গত ২৮ বছরে এই প্রথমবার জেলের বাইরের আলো-বাতাস দেখার সুযোগ মিলছে রাজীব গান্ধী হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত নলিনীর।
এর আগে গতবছর তার বাবার শেষকৃত্যে যোগদানের জন্য মাত্র একদিন প্যারোলে মুক্তি মেলে নলিনীর। তার স্বামী মুরুগানও ওই একই জেলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন। প্রাথমিকভাবে রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে নলিনীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে পরে রাজীব গান্ধীর স্ত্রী কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপে তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা বদলে যাবজ্জীবন করা হয়।
পোর সুপ্রিম কোর্ট রাজীব গান্ধী হত্যায় দোষী বাকি ছজনেরও মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে যাবজ্জীবন সাজার বিধান দেন। সাতজন সাজাপ্রাপ্তই গত ২৮ বছর ধরে জেলে রয়েছেন।
তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে ওই সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির ব্যাপারে তদ্বির করা হলেও, এখনো এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি সে রাজ্যের রাজ্যপাল।