ক্যাফে কফি ডের মালিক নিখোঁজের ঘটনায় নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার

ভারতের বৃহত্তম কফি চেইন ক্যাফে কফি ডের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী জি ভি সিদ্ধার্থ নিখোঁজের পর নদী থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি সিদ্ধার্থের বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গত সোমবার ভারতের ম্যাঙ্গালুরু শহরের উপকণ্ঠে নেত্রাবতী নদীর ওপরে একটি সেতু থেকে নিখোঁজ হন সিদ্ধার্থ। এরপর গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় জেলেরা নদীতে একটি মরদেহ খুঁজে পান বলে পুলিশ জানায়। মৃতদেহটি শনাক্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ম্যাঙ্গালুরু থেকে গত সোমবার রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন দেশটির জনপ্রিয় কফি ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ক্যাফে কফি ডে’র কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থ।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় ম্যাঙ্গালুরুর নেত্রাবতী নদীর ওপর সেতুতে গাড়ি থামিয়ে নিখোঁজ হন ভি জি সিদ্ধার্থ।
ক্যাফে কফি ডে ভারতের বৃহত্তম কফি চেইন। ভারতজুড়ে ক্যাফে কফি ডের এক হাজার ৭৫০টি শাখা রয়েছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়া, নেপাল, মিসরসহ বিভিন্ন দেশেও আছে ক্যাফে কফি ডের কফিশপ।
তবে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, বছর দুয়েক ধরে তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে ক্যাফে কফি ডের ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে। বেশ কিছু এলাকায় ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে ক্যাফে কফি ডে।
ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রে বলা হয়, কোকা-কোলার সঙ্গে ব্যবসার কথাবার্তা চলছিল সিদ্ধার্থের প্রতিষ্ঠানের। তবে এ বিষয়ে মুখ খোলেনি দুই প্রতিষ্ঠানের কেউ।
সিদ্ধার্থ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণর জামাতা।
এদিকে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, নিখোঁজ হওয়ার আগে ক্যাফে কফি ডের ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও কর্মীদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছিলেন সিদ্ধার্থ।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই এক টুইটে সিদ্ধার্থের চিঠিটি প্রকাশ করে। সে চিঠিতে সিদ্ধার্থ লিখেছেন, তিনি অসুখী, কারণ অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও ‘যথাযথ লাভজনক বিজনেস মডেল’ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সিদ্ধার্থ আরো লিখেছেন, আয়কর বিভাগের একজন সাবেক মহাপরিচালক তাঁকে হেনস্তা করেছেন।
সিদ্ধার্থের চিঠিতে আরো লেখা আছে, ‘আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি। যাঁরা আমার ওপরে আস্থা রেখেছিলেন, তাঁদের আশাহত করায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি, কিন্তু আর পারছি না, আমি হাল ছেড়ে দিচ্ছি।’