‘সামনে ঈদ অথচ কাশ্মীরে কেউ শান্তিতে নেই’

জম্মু-কাশ্মীরের একটি জেলা শহর। নাম বারামুল্লা। দোকানপাট সব বন্ধ। পাহাড়ঘেঁষে নেমে আসা রাস্তায় কেউ নেই। শূন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এমন একটি শহরের খোঁজ খবর নিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। কথা বলেছে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে। ভারতশাসিত হিমালয়ের এই অঞ্চলে চলছে কারফিউ।
সামনে ঈদুল আজহা। অথচ সেই আবহ নেই ওই এলাকায়। বারামুল্লার স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল খালিক নজর বলেন, ‘ভারতের যদি কিছু করার ইচ্ছে থাকত তাহলে সেটা ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের পরে করলেই পারত। সামনে ঈদ, এটাও এখন উদ্বেগের বিষয়। আমাদের জীবন যাপনের ওপর প্রভাব পড়েছে, কেউ শান্তিতে নেই।’
খালিক নজর বলেন, ‘এই বিষয়ে কেউ কিছু জানত না, কোনো আলোচনা ছিল না। কেউ এমনটা আশা করেনি। এই খবরটা শুনে আমরা বিস্মিত হয়ে পড়ি। এত গোপনে কেন আপনারা এ পদক্ষেপ নিলেন। সামনে এসে বলেন যে এটা ভালো পদক্ষেপ। আমরা মনে করতাম আমরা স্বাধীন। কিন্তু এখন আর এমনটা মনে করতে পারছি না।’
জহুর নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘ভারত সরকারের যা করার ছিল তা তারা করত। কিন্তু কেন তারা জম্মু-কাশ্মীরের সব কিছু বন্ধ করে দিল। আমাদের সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা মানে তারা আমাদের বিরুদ্ধে কিছু করেছে। আমাদের কাছ থেকে অনুচ্ছেদ ৩৫ এ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৭০, যার মাধ্যমে আমরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি, সেটাও এখন আর নেই। এটা একটা বিয়ের মতো, যার সমাপ্তি ঘটল। এখন কেউ জানে না যে সামনে কী হবে।’