আপনজনদের খোঁজ পাচ্ছেন না কাশ্মীরি ফুটবলাররা

অন্যদের মতো প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আপনজনদের কোনো খোঁজ নিতে পারছেন না কাশ্মীরি একটি ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। এশিয়ার সবচেয়ে পুরোনো ফুটবল টুর্নামেন্ট ‘ডুরান্ড কাপ’ খেলতে গত সোমবার থেকে কলকাতায় অবস্থান করছেন স্নো লিওপার্ডস খ্যাত ‘রিয়াল কাশ্মীর ফুটবল ক্লাব’র ফুটবলাররা। ভারতের কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে সেখানে সব ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ায় এ অবস্থায় পড়েছেন তারা। ফলে অন্য সবার মতো চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের।
আগামী সোমবারের ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কাশ্মীরবাসীর উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে ক্লাবটির মালিক সন্দীপ ছাত্তু গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে ফিরে গিয়ে দলের খেলোয়াড়দের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
ছাত্তু বলেন, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করাতে পারলে তা তাদের মনোবল বাড়িয়ে দেবে।
গতকাল শুক্রবার রাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে দলের ডিফেন্ডার মোহাম্মদ হাম্মাদের বক্তব্য নেওয়া হয়। সেখানে তিনি বলেন, আমরা এখানে নেমে এখন পর্যন্ত পরিবারের কারো সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারিনি।
ক্লাবটির পাঁচজন খেলোয়াড়ের বাড়ি কাশ্মীরে। আর এতে ছয়জন বিদেশি খেলোয়াড় রয়েছেন। বাকিরা ভারতের অন্যান্য এলাকার। তবে দলটির ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের বেশিরভাগই কাশ্মীরের বাসিন্দা।
মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি কাশ্মীরে বিপুল সংখ্যক সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি ঘটিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্র সরকার।
গত সোমবার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় ভারত সরকার। ৩৭০ অনুচ্ছেদের কারণে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যেকোনো ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করত। এর পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই প্রস্তাবে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীরে আইনসভা থাকবে, কিন্তু লাদাখে কোনো আইনসভা থাকবে না।