কাশ্মীরে সরকারি কাজকর্ম স্বাভাবিক করার নির্দেশ

জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখাতে চায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই উপত্যকার সমস্ত সরকারি কাজকর্ম স্বাভাবিক করতে শ্রীনগরের সচিবালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। মনে করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার থেকে উপত্যকার সব স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান খুলতে পারে। কিন্তু কাশ্মীরিরা তাতে কতটা অংশগ্রহণ করেন তা এখন দেখার বিষয়।
আজ বৃহস্পতিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কাশ্মীরের সরকারি কাজকর্ম স্বাভাবিক করার নির্দেশের কথা জানানো হয়। জম্মু ও কাশ্মীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তবে সেটা কতদিন তা বলতে পারেননি সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল।
অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, উপত্যাকার মাটিতে সাংবাদিকদের অন্তত অবাধে খবর সংগ্রহ করতে দেওয়া হোক। তাদের অভিযোগ, ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখায় খবর সংগ্রহ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। যদিও সুপ্রিম কোর্টে বেণুগোপালের দাবি, কাশ্মীরের বাস্তব পরিস্থিতি প্রতিদিন জানানো হচ্ছে এবং সরকারি সংস্থার প্রতিই বিশ্বাস রাখতে হবে।
কে কে বেণুগোপাল বলেন, জম্মুতে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় সেখান থেকে প্রকাশিত হচ্ছে খবরের কাগজ। তবে শ্রীনগরে এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি। সুপ্রিম কোর্টকে তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে জম্মুতে সবধরনের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়। তবে কাশ্মীরে কড়া নিরাপত্তা বহাল রয়েছে।
গত ৪ আগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। তার সপ্তাহ খানেক আগে থেকে মোট ৩৫ হাজার আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করা হয় সেখানে। এই পদক্ষেপে জল্পনা তৈরি হয়, তাহলে কি জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। প্রকাশ্যে সরকারিভাবে কোনো বিবৃতি না দেওয়া হলেও জঙ্গি আশঙ্কা করে হঠাৎ অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পর্যটকদের ফেরত পাঠানো হয়।
গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে অনুচ্ছেদ ৩৭০ এবং ৩৫-ক বিলোপে রাষ্ট্রপতির সিলমোহর এবং সংসদের উভয় কক্ষে অতি সহজেই তা পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।