কলকাতায় বেড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত ৬ বাংলাদেশি

কলকাতায় বেড়াতে গিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও বজ্রপাতে আহত হয়েছেন একাধিক বাংলাদেশি নাগরিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার আতঙ্ক তাঁদের প্রত্যেকের চোখেমুখে। তাঁরা এখন চাইছেন তড়িঘড়ি সুস্থ হয়ে বাংলাদেশ ফিরে যেতে।
ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার বিকেলে। জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় বেড়াতে যান নারায়ণগঞ্জ, যশোর ও খুলনা জেলার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। এদিন বিকেলে তাঁরা কলকাতার অন্যতম দর্শনীয় স্থান ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পরিদর্শনে যান।
এদিন ভারতীয় সময় বিকেল ৩টার কিছু আগে ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায় গোটা কলকাতার আকাশ। সামান্য সময়ের মধ্যেই তুমুল বৃষ্টি নামে। সেইসঙ্গে শুরু হয় প্রবল বজ্রপাত। প্রবল বজ্রপাতসহ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের দক্ষিণ গেটে আশ্রয় নেন ওই বাংলাদেশি নাগরিকরাসহ আরো অনেকে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ আচমকা সেখানে বাজ পড়ে। সে বজ্রাঘাতে কমবেশি আহত হন ১৭ জন। যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকরাও ছিলেন।
এ সময় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ তাদের উদ্ধার করে এবং সেখানে থেকে আহতদের কলকাতার এসএসকেএম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আসার পথেই মৃত্যু হয় কলকাতার এক নাগরিকের। মৃত ব্যক্তি কলকাতা সংলগ্ন দমদমের বাসিন্দা। মৃত ব্যক্তির নাম সুবীর পাল (৩৪)।
এ ছাড়া আহতদের মধ্যে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের ছয় নাগরিক রয়েছেন। বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন নারায়ণগঞ্জের কাজী জহিরুদ্দিন মিঠুর দুই ছেলে কাজী রিয়াজুদ্দিন মহিন (৮) ও কাজী মিরাজুদ্দিন আরবী (৬)। যশোরের বাসিন্দা কাকলি রানী (৪৫), অবন্তী বিশ্বাস (৮) ও বৃত্তি বিশ্বাস (১৬)। এ ছাড়া রয়েছেন খুলনার বাসিন্দা জয়ন্তী রানী সরকার (৫৩)। তাঁরা কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।