কাশ্মীরের ‘জেলে’ ইঁদুরের উপদ্রব, অসহায় বন্দি রাজনীতিবিদরা

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর কাশ্মীরে বন্দি রাখা হয়েছে রাজ্যের বহু রাজনীতিবিদকে। বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর আশঙ্কায় তাঁদের বন্দি রাখা হয়েছে বলে দাবি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের। এরই মধ্যে অসংখ্য রাজনীতিবিদ বন্দি থাকায় জেলগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গার অভাব দেখা দেয়। সে জন্য রাজ্যের বিভিন্ন রিসোর্টে রাখা হয়েছে তাঁদের। আর ওই রিসোর্টগুলোই এখন আক্ষরিক অর্থে হয়ে উঠেছে ভিভিআইপি প্রিজন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি হওয়া ওই সব ভিভিআইপি প্রিজন বা জেলে এখন ইঁদুরের উপদ্রবের অভিযোগ উঠেছে। বন্দি ওই রাজনীতিবিদদের অভিযোগ, ইঁদুর একদিকে যেমন খাবার খেয়ে নিচ্ছে, তেমনি তাঁদের কামড়ও দিচ্ছে।
জানা গেছে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা মুখতার বান্ধ এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) নেতা নিজামুদ্দিন বাটকে ইঁদুর কামড় দিয়েছে। এর মধ্যে মুখতার বান্ধকে অ্যান্টি র্যাবিস ইনজেকশনও দেওয়া হয়েছে। নিজামুদ্দিনেরও চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়া বন্দি আছেন শাহ ফয়জাল নামের সাবেক এক আইএএস কর্মকর্তা, যিনি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। বন্দি রয়েছেন মুখতার বান্ধের বাবা সাবেক মন্ত্রী খলিল বান্ধও। তাঁরা সবাই ইঁদুরের উপদ্রবের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন। তবে এ বিষয়ে কাশ্মীরের জেল সুপার জাভেদ বক্সির কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
ওই রাজনীতিবিদদের স্বজনদের অভিযোগ, বন্দিদের ভয় দেখাতে ভিভিআইপি প্রিজন বা জেলগুলোতে ইঁদুর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তা না হলে থ্রি স্টার হোটেল, যেগুলো এখন ভিভিআইপি প্রিজন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেখানে কীভাবে যত্রতত্র ইঁদুর ঘুরে বেড়াতে পারে?
এদিকে কাশ্মীরের ডাল লেকের তীরে সেন্টির লেক ভিউ হোটেলে এখন বন্দি রয়েছেন সেখানকার রাজনীতিবিদরা। মূলত কাশ্মীরের ডাল লেকের তীরে সেন্টির লেক ভিউ হোটেল একটি থ্রি স্টার হোটেল। হোটেলটিকে আপাতত অস্থায়ী জেলে রূপান্তর করা হয়েছে।