লিভ টুগেদার করা নারীরা রক্ষিতার মতো : রাজস্থান মানবাধিকার কমিশন প্রধান

ভারতে ফের আলোচনায় লিভ-ইন, অর্থাৎ লিভ টুগেদার রিলেশনশিপ। ‘লিভ-ইন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করা উচিত এবং এ জাতীয় সম্পর্কে থাকা নারীরা রক্ষিতার মতো’—এমন মন্তব্য করলেন রাজস্থানের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মহেশ চন্দ্র শর্মা। এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন ‘ময়ূরদের যৌন সম্পর্ক নেই’ বলে মন্তব্য করে শিরোনামে আসেন তিনি।
লিভ-ইন রিলেশনশিপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মহেশ চন্দ্র শর্মা গত বুধবার বলেন, ‘এ ধরনের প্রক্রিয়ায় জীবনযাপন দেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত মৌলিক অধিকার এবং নারীদের মানবাধিকার রক্ষার পরিপন্থী।’
বিচারপতি প্রকাশ তাঁতিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে জারি করা এক নির্দেশনায় তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সম্পর্ক নিষিদ্ধ করা জরুরি এবং এ ধরনের সম্পর্ককে নিরুৎসাহিত করা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোরও অবশ্যকর্তব্য।’
এ নির্দেশনার নিন্দা জানিয়ে একে ‘চরম পশ্চাৎপদ’ আখ্যা দিয়ে সমাজকর্মী কবিতা শ্রীবাস্তব জানান, তাঁরা রাজস্থান হাইকোর্টে এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তিনি সরকারকে লিভ-ইন সম্পর্কের বিরুদ্ধে আইন করার এবং ‘পারিবারিক নির্যাতন রোধ’-এর আইনের ‘বিবাহের ধরন’ ধারাটিকেও চ্যালেঞ্জ জানানোর কথাও বলেন।
লিভ-ইন নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়ে বিতর্কে জড়ানো এই বিচারপতি শর্মাই বছর তিনেক আগে রাজস্থান হাইকোর্ট থেকে অবসর নেওয়ার সময় মন্তব্য করেন, ‘ময়ূরেরা ডিম ফোটানোর জন্য তাদের কান্না ব্যবহার করে।’
তিনি বলেন, ‘ময়ূর আজীবন ব্রহ্মচারী। এটি কখনো ময়ূরীর সঙ্গে যৌন মিলন করে না। ময়ূরের অশ্রু গিলেই ময়ূর গর্ভবতী হয়।’ গরুকে জাতীয় প্রাণীর মর্যাদা দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
জাতীয় পাখি ময়ূরের সঙ্গে একটি গরুর তুলনা করে তিনি উভয় প্রজাতিকেই ‘ধার্মিক’ বলে বর্ণনা করেছিলেন সে সময়।