তাবরেজ আনসারির মৃত্যুতে কারো দায় নেই : ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

এ বছরের জুনে ভারতের ঝাড়খণ্ডে মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে গণপিটুনির জেরে মৃত্যু হয় ২৪ বছরের এক যুবকের। তবে ওই গণপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তাবরেজ আনসারির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে গণপিটুনিতে নয়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, এই মামলার চার্জশিট নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা ২৪ বছর বয়সী তাবরেজ আনসারির উপর হামলার জন্য অভিযুক্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও আরো এক অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করলে দ্বাদশ অভিযুক্ত হিসেবে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
ঝাড়খণ্ডের সারাইকেলা-খারওয়ানে আরো দুই যুবককে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চুরি করছিলেন এই সন্দেহে তাবরেজ আনসারিকে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। মারধরের পাশাপাশি ওই যুবককে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।
গণপিটুনিতে মারাত্মক আহত হওয়ার চার দিন পরে ২২ জুন একটি হাসপাতালে মারা যান তাবরেজ আনসারি।
‘মেডিকেল রিপোর্টে হত্যার পক্ষে কোনো সমর্থনযোগ্য প্রমাণ মেলেনি যার ভিত্তিতে আমরা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করাতে পারি,’ জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের একজন প্রবীণ পুলিশ অফিসার কার্তিক এস। তিনি জানান, দুটি পৃথক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে একই ফলাফল পাওয়া গেছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন তাবরেজ আনসারি।
‘আমরা প্রথমবার যখন এই মেডিকেল রিপোর্ট পাই তখন আমরা উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে দ্বিতীয়বার মতামত চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরাও একই মতামত দিয়েছেন,’ বলেন কার্তিক।
মৃত তাবরেজ আনসারির পরিবারের অভিযোগ ছিল যে তাঁর মাথা একেবারে মেরে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। সে বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ জানিয়েছেন, পুলিশ কেবলমাত্র মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ীই পদক্ষেপ নিতে পারেন।