স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে

স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। আজ বুধবার সংবাদমাধ্যমকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, নির্মলা বলেন, তামাকে আসক্তি মোকাবিলার হাতিয়ার হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা হলেও এই ই-সিগারেট বা বৈদ্যুতিন সিগারেট এবং এই ধরণের অন্যান্য পণ্যগুলো একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ দেশে। এমনকী শিশুরাও না বুঝে এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। এই ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ এখন থেকেই কার্যকর করা হলো।
‘এর অর্থ ই-সিগারেট সম্পর্কিত যে কোনো উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি, পরিবহন, বিক্রয়, বিতরণ, সঞ্চয় ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে,’ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন নির্মলা সীতারামন।
ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ অধ্যাদেশ-২০১৯ সম্প্রতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বেশ কিছু সদস্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয়ের নির্দেশক্রমে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী এমন ঘোষণা দিলেন।
অধ্যাদেশের খসড়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব করেছে, নিষিদ্ধ করার বিষয়টি না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করতে হবে। তবে প্রথমবার ভুলে আইন লঙ্ঘন করলে তাদের কারাদণ্ড না হলেও ১ লাখ রুপি জরিমানার বিধান রাখতে হবে।
নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম একশ দিনের এজেন্ডার মূল অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে ছিল ই-সিগারেট, হিট-নট-বার্ন স্মোকিং ডিভাইস, ভ্যাপ এবং ই-নিকোটিন স্বাদযুক্ত হুকাগুলোর মতো বিকল্প ধূমপানের যন্ত্র নিষিদ্ধ করা।