পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বাংলা’ করার আশ্বাস মোদির

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে এবার ‘বাংলা’ রাখার পথে হাঁটছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আশ্বাস দেন।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এবার বৈঠকে তাঁরা কাশ্মীর সংকট, আসামের এনআরসিসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বৈঠক শেষে মমতা বলেন, “রাজ্যের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কিছু করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আমি বলেছি, ‘বাংলা’ নাম সামনে রেখে যদি তাঁরা কোনো প্রস্তাব দেন, সে ক্ষেত্রে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।”
গতকাল বুধবার বিকেলে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হলুদ গোলাপের স্তবক, মিষ্টি ও পাঞ্জাবি উপহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করেন মমতা।
এদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নয়াদিল্লির ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গে পৌঁছান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর হাতে হলুদ গোলাপের তোড়া তুলে দেন তিনি। পাল্টা সৌজন্য দেখিয়ে মোদিও মমতাকে উষ্ণ সংবর্ধনা জানান। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদিকে মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি পাঞ্জাবিও তাঁর হাতে তুলে দেন।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগরের বিখ্যাত সূর্য মোদকের দোকানের সন্দেশ মোদির জন্য নিয়ে যান মমতা। একই সঙ্গে বাংলার তাঁতশিল্পীদের তৈরি পাঞ্জাবির সেটও উপহার হিসেবে নিয়ে যান মমতা।
উল্লেখ্য, ভারতের গত লোকসভা নির্বাচনে এই মিষ্টি ঘিরেই সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজনীতি। বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মমতা প্রসঙ্গে মোদি মিষ্টি ও পাঞ্জাবির কথা বলেছিলেন। যদিও মমতা রাজনীতির ময়দানে দাঁড়িয়ে পাল্টা জবাবে জানান, অনেককেই তিনি এমন উপহার পাঠিয়ে থাকেন। এটি তাঁর বাংলার সংস্কৃতি বলেও ব্যাখ্যা করেন মমতা। পরবর্তী সময়ে অবশ্য ভোট ময়দানে পাল্টা তোপ দেগে মমতা বলেছিলেন, মিষ্টির মধ্যে কাঁকর ভরে দেবেন তিনি। তারপর কেটে গেছে প্রায় চার মাস। তবে শেষ পর্যন্ত কাঁকর তো নয়ই, উল্টো সন্দেশ নিয়ে মোদির কাছে উপস্থিত হলেন মমতা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে এ বৈঠক থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে।’
মমতা আরো বলেন, ‘দুর্গাপূজার পর পশ্চিমবঙ্গের বীরভুমের দেওচা-পাচমি কয়লাখনির উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছিলাম।’