১০৭ কেজির বিরল প্রজাতির মাছ, চড়া দামে কিনে নিল ওষুধ কোম্পানি

রাতারাতি লাখপতি হওয়া বোধ হয় একেই বলে। প্রতিদিনের মতোই জেলেরা সমুদ্রে গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি হয়তো, দিনটা তাঁদের জন্য এতটা ভালো হতে চলেছে। জালে এমন একটি মাছ উঠল, যা কি না রাতারাতি ওই জেলেদের লাখপতি করে দিল। মাছের ওজন ১০৭ কেজি। ভারতের ওডিশা রাজ্যের চাঁদবালি এলাকায় এই মাছের খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মানুষ তো বটেই, দূরদূরান্ত থেকেও লোকজন আসেন সেই ১০৭ কেজির বিরাটাকার মাছটি দেখতে।
প্রতিদিনের মতো এদিনও দামরা সমুদ্রতীর থেকে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন স্থানীয় জেলেরা। এত বড় মাছ জালে পড়ার পর প্রথমে চমকে উঠেছিলেন তাঁরা। সেই বিরল প্রজাতির মাছের দাম শুনে চোখ কপালে ওঠে জেলেদের।
প্রতি কেজি মাছের দাম সাত হাজার রুপি। চেন্নাইয়ের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি সেই জেলেদের থেকে সাড়ে সাত লাখ রুপিতে সেই মাছ কিনে নিয়েছে। জানা গেছে, বহুদিন পর ওই অঞ্চল থেকে এত বড় মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়েছে। এই মাছটিকে ড্রোন সাগর বলা হয়ে থাকে।
এর আগে ঘোল প্রজাতির একটি মাছ এমন চড়া দামে বিক্রি হয়েছিল। সেবার সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল সেই মাছ। ঘোল প্রজাতির মাছের চামড়া ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। এ ছাড়া কসমেটিক সার্জারিতেও কাজে লাগে এই প্রজাতির মাছের চামড়া। ঘোল প্রজাতির মাছের চামড়া থেকে কোলাজম পাওয়া যায়, যা কি না দামি প্রসাধনী পণ্য তৈরিতে কাজে লাগে। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, হংকংয়ের মতো দেশে এই বিরল প্রজাতির মাছ পাঠানো হয়।