জাতিসংঘে ভাষণ : ভারতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভারতের বিহার রাজ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার বিহারের মুজাফফরনগর আদালতে একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী ২১ অক্টোবর ওই মামলার শুনানি হবে।
সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে এক প্রতিবেদনে জানায়, আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা মুজফফরপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে ইমরানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ), ১২৫ ও ৫০৫ ধারা অনুযায়ী ওই মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘আপত্তিজনক’ মন্তব্য করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি তাঁর বক্তব্যে ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন।
গত শুক্রবার জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান কার্যত ভারত-পাক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো হুমকি দিচ্ছি না। কিন্তু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকেও ভাবতে হবে, তাঁরা ১৩০ কোটি মানুষের ভারতীয় বাজারকে তোষণ করবেন, নাকি নিরপরাধ নির্যাতিত মানুষের ন্যায়ের জন্য লড়বেন। তা না হলে ভালো আশা আপনারা করতেই পারেন, কিন্তু খারাপের জন্যও তৈরি থাকুন।’
জাতিসংঘের ওই মঞ্চে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘প্রথাগত যুদ্ধ শুরু হলে যা কিছু হতে পারে। যখন দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ পরস্পরের মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়, তখন ফলাফল সীমান্তেই আটকে থাকে না। এখন এটা জাতিসংঘের কাছে পরীক্ষা, তারা কী চাচ্ছে!’
গুজরাট দাঙ্গা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফ্যাসিস্টদের সঙ্গেও তুলনা করেছেন ইমরান খান।
জাতিসংঘে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বিদিশা মৈত্র ইমরান খানের ভাষণের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যে, পাক প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্বকে আড়াআড়িভাবে ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা-ওরা, ধনী-গরিব, উত্তর-দক্ষিণ, উন্নত-উন্নয়নশীল এবং মুসলিম-অন্যান্য। তাঁর ওই ভাষণ প্ররোচনামূলক। ঘৃণায় ভরা।’
ইমরান খান জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে যে ধরণের শব্দ প্রয়োগ করেছেন, তার মধ্য দিয়েই তাঁর মধ্যযুগীয় মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে বলেও বিদিশা মৈত্র মন্তব্য করেন।