ভারতের ভবিষ্যৎ অন্ধকার : মমতা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আগামী দিনে ভারতের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। যুবকদের মধ্যে হাহাকার নেমেছে, কোথাও চাকরি নেই। উল্টো চলছে বিভিন্ন কলকারখানা থেকে কর্মী ছাঁটাই। একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হয় বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, নতুবা বন্ধ করা হচ্ছে। অর্থনীতির এতটাই খারাপ অবস্থা যে হাত পড়েছে রিজার্ভ ব্যাংকের তহবিলে। আগামী দিনে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা মানুষ পাবে কি না, আমার তা নিয়েও সন্দেহ আছে।’
তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র ‘উৎসব সংখ্যা ১৪২৬’-এ নিজের কলমে এমনটাই লিখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভারতের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত বলেই জানালেন। আগামী দিনে কী হবে দেশটার, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘কিছু কথা কিছু ব্যথা’ শিরোনামে মমতা লিখেছেন, ‘এ বছর লিখতে বসে মনটা ভারাক্রান্ত। দেশের কী হবে। আমরা সবাই এক থাকতে পারব তো? এমন একটি সরকার দিল্লির ক্ষমতায় এসেছে, যারা গণতন্ত্র মানে না। সংবিধান মানে না। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানে না। মানুষের মৌলিক অধিকারের কোনো মূল্য এরা দেয় না। দেশকে একদলীয় ব্যবস্থার পথে ঠেলে দিয়ে সুপার ইমার্জেন্সি কায়েম করা হয়েছে। ভাবখানা এমন যেন, ভারতের মাটিতে আগামী দিনে শুধু বিজেপি থাকবে। আর সবাই জেলে যাবে। যে প্রতিবাদ করবে, তার পেছনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশের এত খারাপ সময় স্বাধীনতার এই ৭২ বছরে কখনো আসেনি।’
মমতা আরো লিখেছেন, ‘এরা যদি রাজনীতি করত, তাহলে কিছু বলার ছিল না। এদের কাজ শুধু ভাগাভাগি। কোথাও ধর্মের ভিত্তিতে, আবার কোথাও জাতির ভিত্তিতে। ভুলভাল পদক্ষেপ করে দেশের অর্থনীতিকে দুমড়ে দেওয়া হয়েছে।’