জেরুজালেম হবে ইহুদিপ্রধান শহর!
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জেরুজালেম হবে ইহুদিপ্রধান শহর। জেরুজালেমে মুসলমানদের বসবাসের অধিকার কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছে, শহরটিতে সাম্প্রতিক সহিংসতার পর ২০০৪ সালে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার কথা ভাবছে দেশটি।
এহুদ ওলমার্টের পরিকল্পনায় ছিল, ২০১২ সালের মধ্যে জেরুজালেম ইহুদিপ্রধান শহর হয়ে দাঁড়াবে। শহরটিতে ইহুদির সংখ্যা হবে ৮৮ শতাংশ। আর আরব-সংখ্যালঘুদের ১২ শতাংশ। কিন্তু যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে মুসলমান এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র শহর জেরুজালেমে আরব বংশোদ্ভূত ফিলিস্তিনি ও ইহুদিদের জনসংখ্যার অনুপাত যথাক্রমে ৭২ ও ২৮ শতাংশ।
জনসংখ্যা ও নৃতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ইনডিপেনডেন্ট আরো জানায়, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দুই লাখ ৩০ হাজারেও বেশি ফিলিস্তিনি। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জনতাত্ত্বিক ঘনত্বের ভারসাম্য।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৩ সালে স্থাপিত জেরুজালেমের পৃথককরণ দেয়ালের বাইরে থাকে এক লাখ ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি। আর এক লাখ ৯৫ হাজারের বসবাস দেয়ালের ভেতরে। এদিকে ইসরায়েলের দেওয়া পরিচয়পত্রের সুবাদে আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ ফিলিস্তিনির পূর্ব জেরুজালেমে কাজ করা ও মুক্তভাবে চলাফেরার অধিকার রয়েছে। কিন্তু ওহুদ ওলমার্টের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুই পাশের ফিলিস্তিনিরাই।