থাই রাজকুমারীর জন্য ৩১ লাখ টাকার টয়লেট

দরিদ্র দেশ কম্বোডিয়া ভ্রমণে গিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী থাইল্যান্ডের রাজকুমারী। তাঁর ভ্রমণসূচিতে থাকা দর্শনীয় এক স্থানে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করে একটি টয়লেট স্থাপন করা হয়। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩১ লাখ ৪০ হাজার। তবে দুই ঘণ্টার ভ্রমণে রাজকুমারী একবারও ওই টয়লেট ব্যবহার করেননি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, দরিদ্র কম্বোডিয়ার বেশির ভাগ গ্রামীণ জনগোষ্ঠী পয়ঃনিষ্কাষণ সুবিধাবঞ্চিত। সেখানে রাজকুমারীর কয়েক ঘণ্টা ভ্রমণের জন্য ৪০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করে টয়লেট স্থাপন অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগায়। তবে পরে জানা যায় এটি তৈরি করেছে থাইল্যান্ডেরই একটি প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, থাই রাজকুমারী মহা চাকরি সিরিনধন গতকাল সোমবার উত্তর-পূর্ব কম্বোডিয়ার ইয়াক লায়ম হ্রদ পরিদর্শনে যান। এই উপলক্ষে কয়েক সপ্তাহ আগেই থাইল্যান্ড থেকে বিভিন্ন জিনিস আনা হয়। পরে ইয়াক লায়ম হ্রদের কাছে টয়লেটটি স্থাপন করা হয়। থাই প্রকৌশলীদের এটি স্থাপনে দুই সপ্তাহ সময় লাগে।
উত্তর-পূর্ব কম্বোডিয়ার প্রাদেশিক গভর্নর নেহেম স্যাম ওয়ুন বলেন, রাজকীয় হিসেবে টয়লেটটি অত্যাধুনিক ভাবেই তৈরি করা হয়। আর থাইল্যান্ডই এটি তৈরির খরচ বহন করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিলাসবহুল টয়লেটটি নির্মাণ করে সিয়াম সিমেন্ট গ্রুপ। ওই গ্রুপের কিছু অংশের মালিক থাই রাজ পরিবার। তবে ওই গ্রুপের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইয়াক লায়ম হ্রদের স্থানীয় নেতা ভ্যান চার্ক এএফপিকে বলেন, এমন বিলাসবহুল টয়লেট তিনি জীবনে দেখেননি। এটি দেখতে একটি বিলাসবহুল বাড়ির মতো। তবে থাই রাজকুমারী হ্রদ ঘুরতে এসে বিলাসবহুল টয়লেটটি ব্যবহার করেননি। তিনি দূর থেকে এটি দেখেন এবং কয়েকটি ছবি তোলেন।
জানা গেছে, বিলাসবহুল স্থাপনা থেকে টয়লেটটি সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরে এর ফাঁকা অংশে নিরাপত্তা চৌকি তৈরি হবে।
বিশ্বজুড়ে থাই রাজপরিবারের জন্য এমন বিলাসিতার খবর ফলাও করে প্রচার করা হলেও থাইল্যান্ডে এই ব্যাপারে কোনো উচ্চবাচ্য নেই। দেশটির আইন অনুযায়ী, রাজপরিবারের সমালোচনা করলে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।