মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট

ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট মাভেরিক রদ্রিগো দুতের্তে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহালের অঙ্গীকার করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানিয়েছেন, অপরাধী ও সন্দেহভাজন যারা গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করবে, তাদের গুলি করার ক্ষমতা পাবে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহে নির্বাচনের পর স্থানীয় সময় রোববার সাংবাদিকদের সামনে প্রথমবার উপস্থিত হয়ে দুতের্তে এ কথা জানান।
এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা না হলেও দুতের্তেই নতুন সরকারের প্রধান হবেন, এটি নিশ্চিত।
৯ মে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ১০ মে সকালে দুতের্তের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানুয়েল মার রোক্সাস পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
পরাজয় মেনে নিয়ে রোক্সাস তাঁর সমর্থকদের বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে মেয়র দুতের্তে ফিলিপাইনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। বেসরকারি ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আমরা দুতের্তের চেয়ে ৬১ লাখ ভোটে পিছিয়ে আছি।’ এ ছাড়া দুতের্তের সফলতা কামনা করেন রোক্সাস।
আগামী ৩০ জুন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুতের্তে শপথ নেবেন। পরবর্তী ছয় বছর তিনি দেশটির সরকার পরিচালনায় থাকবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহালের মতো আইন দুতের্তে কীভাবে অনুমোদন করবেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে তাঁর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান এ ক্ষেত্রে সুফল আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী দাভাওয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ৭১ বছর বয়সী দুতের্তে জানান, চীনের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চান তিনি। দক্ষিণ চায়না সাগর নিয়ে ভৌগোলিক বিরোধের ব্যাপারে তিনি সরাসরি কথা বলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
দাভাওয়ের মেয়র ছিলেন রদ্রিগো দুতের্তে। দুঃশাসনের জন্য কুখ্যাত এ শহরটিকে তিনি দুর্নীতিমুক্ত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেন। নির্বাচনী প্রচারে এ বিষয়টি সামনে আনেন তিনি। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট বেনিনগো অ্যাকুইনোর সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও দারিদ্র্য ও অসাম্য বাড়ার বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। এ ধরনের প্রচার ভোটে কাজে দিয়েছে।