ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউ নেতাদের সঙ্গে বসছেন ক্যামেরন

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকা না-থাকার বিষয়ে যুক্তরাজ্যে গণভোটের পর এই প্রথম দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে ব্রেক্সিটের (যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়া) বাস্তবায়ন নিয়ে ইইউ নেতাদের সঙ্গে ক্যামেরনের আলোচনা হতে পারে।
গতকাল সোমবার জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির ইইউ নেতারা বলেন, এ পর্যায়ে ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো ‘আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক’ আলোচনা নাও হতে পারে।
ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির চ্যান্সেলর জর্জ ওসবর্ন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার তাঁর কোনো ইচ্ছা নেই। ব্রিটেনের দ্য টাইমস পত্রিকাকে ওসবর্ন বলেন, কোনো কাজ অর্ধেক করা তাঁর স্বভাবে নেই। তিনি নিজেও যুক্তরাজ্যের গণভোটের জন্য সবকিছু উজাড় করে প্রচারণা চালিয়েছেন। ভোটের পর ফলও মেনে নিয়েছেন। ওসবর্ন আরো বলেন, এ মুহূর্তে দলের জন্য প্রয়োজনীয় একতা দেওয়ার মতো ব্যক্তি তিনি নন।
এদিকে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, ইইউর একক বাজারে যুক্তরাজ্যের থাকা উচিত। ক্যামেরনের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী হতে ইচ্ছুক এই কনজারভেটিভ নেতা ‘নরওয়ে প্লাসে’র মতো কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন, যেখানে ইইউর বাজারে থাকার সব সুবিধা পাবে যুক্তরাজ্য। তবে অভিবাসন ও অন্যান্য বিষয়ের নীতি নিয়ে দরকষাকষি হতে পারে।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার বিরোধী লেবার দলের প্রধান জেরেমি করবিনের বিরুদ্ধে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করবিন যুক্তরাজ্যের ইইউয়ে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালান। গণভোটে ব্রেক্সিটের জয়ের পর দলটির অনেক সদস্য দলে তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। করবিন অবশ্য নিজের অবস্থানে এখনো দৃঢ়।