ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে আইএসের রাসায়নিক হামলার আশঙ্কা
ইরাকের একটি মার্কিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) রাসায়নিক অস্ত্র ছুড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ইরাকের মসুল শহরে নিকটবর্তী ওই ঘাঁটির কাছে পাওয়া একটি রকেট পরীক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায়, মসুলের নিকটবর্তী কায়ারা বিমানঘাঁটির কয়েকশ ফুটের মধ্যে একটি রকেট পড়ে। রকেটটিতে প্রাণঘাতী মাস্টার্ড গ্যাস তৈরির উপাদান আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি নিশ্চিত হওয়া গেলে এটিই হবে কোনো মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে আইএসের প্রথম রাসায়নিক অস্ত্র হামলা।
মাস্টার্ড গ্যাস মানুষের ত্বক, চোখ এবং শ্বাসনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা থেকে মৃত্যুও হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে বলেন, সন্দেহভাজন রকেটটিতে তৈলাক্ত পদার্থ দেখতে পেয়ে দুটি পরীক্ষা চালানো হয়। প্রথম পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। তবে পরবর্তী ফলাফলটি ছিল নেতিবাচক।
সিএনএন জানায়, রকেটটি নিয়ে আরো পরীক্ষা করা হচ্ছে।
কায়ারা বিমানঘাঁটিতে সাধারণত কয়েকশ মার্কিন সেনা অবস্থান করে। তবে সন্দেহভাজন রাসায়নিক অস্ত্র হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায়, ঘাঁটিতে রাসায়নিক হামলা থেকে বাঁচার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ছিল।
এর আগে গত বছর ইরাকে কুর্দি বাহিনীর ওপর আইএস ২০ বার রাসায়নিক অস্ত্র ছুড়েছে বলে মার্কিন নথিতে দাবি করা হয়। অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই আশঙ্কা করা হয়, আইএস ইরাক ও সিরিয়ায় ত্রুটিপূর্ণ রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি ও ব্যবহার করছে।
দুই বছর ধরে ইরাকের মুসল শহরে নিয়ন্ত্রণ রেখেছে আইএস। সম্প্রতি মসুল দখলে অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানে স্থানীয় যোদ্ধাদের সহায়তা করছে মার্কিন সেনারা।